30 C
আবহাওয়া
৫:৪২ পূর্বাহ্ণ - মে ১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ন্যাশনাল রিসোর্স একাউন্টস তৈরি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

ন্যাশনাল রিসোর্স একাউন্টস তৈরি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

ন্যাশনাল রিসোর্স একাউন্টস তৈরি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

বিএনএ, ঢাকা: দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এর পাশাপাশি একজন মানুষ সারাজীবনে কত অক্সিজেন ব্যবহার করে, কত পানি ব্যবহার করে এবং এসবের আর্থিক মূল্য কত সেটিও নিরূপণ করা হবে। এজন্য ন্যাশনাল রিসোর্স একাউন্টস তৈরি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক একাউন্টিং সিস্টেমের আওতায় এ কাজ করবে এনআরএ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এদেশের, মাটি, পানি, বাতাস, বন, প্রাণিসম্পদসহ সব ধরণের প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব করা হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। যেকোনো নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই একাউন্টস ব্যাপক কাজে আসবে। সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করবে। এছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করবে। এর ভিত্তিতে এবং জাতিসংঘের সহায়তায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং এফএও এর রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াকুন সাই। বক্তব্য দেন বিবিএসের উপমহাপরিচালক পরিমল চন্দ্র বসু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, একটি ধারণা হলো যে, পরিবেশ ও উন্নয়ন পরস্পরবিরোধী। কিন্তু এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্যই টেকসই উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যেন দুটোই করা সম্ভব হয়। আগে গায়ের জোরে অনেকেই বন ও পরিবেশ ধ্বংস করতো। কিন্তু এখন প্রভাব খাটিয়ে কিছু করা চলবে না। সবার আগে দেখতে হবে জাতীয় স্বার্থ। এজন্যই একাউন্টস দরকার। এখন বিশ্বব্যাপী পরিবেশের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। কিন্তু এই যুদ্ধে প্রকৃতি কখনই হারবে না। তাই পরিবেশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন হবে না।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এর আওতায় আরও ১১টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। তখন প্রাকৃতিক সম্পদেরও লাইভ তথ্য পাওয়া আরও সহজ হবে। এসডিজি বাস্তবায়ন এখনও অনেক দূরে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমান বিশ্বব্যাপী যেভাবে এসডিজি বাস্তবায়ন হচ্ছে এতে ২০৩০ সালে নয় ২০৬৮ সালেও এসডিজি পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বেঁচে থাকাটাই এখন মানুষের অন্যতম চিন্তা। এই চিন্তা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর এই বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতির দ্বারস্থ হতে হয়। আমাদের তথ্যভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ হবে ততই আমরা টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে পারব। এজন্য সঠিক জরিপ প্রয়োজন।

ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। প্রকৃতির মধ্য থেকেই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদের যে একাউন্টস করা হচ্ছে সেটির জন্য সবার সহায়তা প্রয়োজন।

বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ