37 C
আবহাওয়া
৫:২৫ অপরাহ্ণ - মে ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শবে মেরাজ: আল্লাহর অলৌকিক নিদর্শন

শবে মেরাজ: আল্লাহর অলৌকিক নিদর্শন


বিএনএ ডেস্ক : বছরের গুরুত্বপূর্ণ রাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লাইলাতুল মেরাজ বা শবে মেরাজ। মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন, ঊর্ধ্বে আরোহণ। যেহেতু রাসুলুল্লাহ সা. তাঁর এক মহাকাশ ভ্রমণ সম্পর্কে এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন এজন্য তাঁর এই ভ্রমণকে মেরাজ বলা হয়। মহানবীর জীবনে সংঘটিত আশ্চর্য বিষয়াবলির মধ্যে মেরাজ অন্যতম। মহান আল্লাহ তাঁর বন্ধুকে মক্কার মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসা এবং তথা হতে ঊর্ধ্ব জগত পর্যন্ত স্বশরীরে, আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনাদি দেখানোর জন্য ভ্রমণ করিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন :

আজ পবিত্র শবে মেরাজ 2023

কুরআনে কারিমে আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি বান্দাকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ পবিত্র, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল : ১)

শবে মেরাজকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের উৎসব-আনুষ্ঠানিকতা শরিয়ত সমর্থন করে না। অনেকে শবে মেরাজে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত ইবাদত করেন কিন্তু ফজরের নামাজ পড়তে পারেন না অথবা জামাতে আদায় করতে পারেন না। এটা উচিত নয়। রাত জেগে ইবাদত করলে ফজরের নামাজও জামাতে আদায় করতে হবে। সারা রাত ইবাদত করে ফজরের নামাজ ছেড়ে দিলে সেই ইবাদতের কোনোই মূল্য নেই।

নবুয়তের দশম বছরে আল্লাহর নবী (সা.)-এর ৫০ বছর বয়সে মেরাজের অলৌকিক ঘটনা ঘটে। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) উম্মে হানি বিনতে আবু তালেবের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ হজরত জিবরাইল (আ.) এসে রাসুল (সা.)-কে মসজিদে হারামে নিয়ে যান। যেখানে তাঁর বুক বিদীর্ণ করে জমজম কূপের পানি দিয়ে শিনা ধুয়ে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করা হয়। এ ঘটনাকে ‘শাক্কুস সদর’ বলে। নবীজি (সা.)-এর জীবনে অন্তত তিনবার এমনটা হয়েছে। তারপর সেখান থেকে তিনি ‘বোরাক’ নামক এক ঐশী বাহনে চড়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে এসে সব নবীর ইমাম হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। তারপর তিনি বোরাকে চড়ে ঊর্ধ্বে গমন করতে থাকেন। একের পর এক আসমান অতিক্রম করেন। রাস্তায় হজরত মুসা (আ.)-সহ বেশ কয়েক নবী-রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সপ্তম আসমানের পর হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বায়তুল মামুর পরিদর্শন করানো হয়। সেখানে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বচক্ষে জান্নাত ও জাহান্নাম দেখেন।
বায়তুল মামুরে হজরত জিবরাইল (আ.)-কে রেখে তিনি ‘রফরফ’ নামক আরেকটি আসমানি বাহনে চড়ে মহান আল্লাহর দরবারে হাজির হন। কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) আল্লাহ তায়ালার এতটা কাছাকাছি গিয়েছিলেন যে, দুজনের মাঝখানে মাত্র এক ধনুক পরিমাণ ব্যবধান ছিল। এখানে হজরত রাসুলল্লাহ (সা.)-এর উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়। পরবর্তী সময়ে বারবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উম্মতে মুহাম্মাদি (সা.)-এর ওপর ফরজ করেন, যা ইসলামের পাঁচটি রোকনের অন্যতম রোকন বা ভিত্তি। যেহেতু মেরাজের রাতে নামাজের নির্দেশ হয়েছে, এ জন্য নামাজকে ‘মেরাজুল মুমিনিন’ বা মুমিনের মেরাজ বলা হয়।
বিএনএ/ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ