23 C
আবহাওয়া
১:০৮ পূর্বাহ্ণ - মে ৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাসেলের পরিকল্পনা ছিল ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার : র‌্যাব

রাসেলের পরিকল্পনা ছিল ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার : র‌্যাব


বিএনএ, ঢাকা : এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইভ্যালির দেনা ছিল ৪০৩ কোটি টাকা। গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছে ইভ্যালির দেনা বেড়ে এক হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। গ্রাহকের এই টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে-র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি র‌্যাবের হেফাজতে থাকা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল । সর্বশেষ দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিল তার।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সম্পর্কে এমন তথ্য র‌্যাবকে জানিয়েছেন বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

‘ব্যবসায়িক অপকৌশল’ হিসেবে নতুন গ্রাহকদের উপর দায় চাপিয়ে পুরাতন গ্রাহকদের আংশিক অর্থ ফেরত অথবা পণ্য ফেরত দিতেন উল্লেখ করে এই র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তার এই দায় ট্রান্সফারের দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি নেটওয়ার্কে যতো গ্রাহক তৈরি হয় লাইবেলিটিজ বাড়তে থাকে।’

গ্রেফতার দুই জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, রাসেল ২০০৭ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। ২০১১ সালে ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরি শুরু করেন। প্রায় ৬ বছর চাকরির পর ২০১৭ সালে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি প্রায় এক বছর শিশুদের ব্যবহার্য একটি আইটেম নিয়ে ব্যবসা করেন এবং পরে তিনি ওই ব্যবসা বিক্রি করে দেন। ২০১৮ সালে আগের ব্যবসালব্ধ অর্থ দিয়ে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। কোম্পানিতে তিনি সিইও এবং তার স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইভ্যালির ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা সম্পর্কে গ্রেপ্তার দুজন জানান, তাঁদের লক্ষ্য ছিল প্রথমত ইভ্যালির ‘ব্রান্ড ভ্যালু’ তৈরি করা। পরে দায়সহ কোনো প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে লভ্যাংশ নেওয়া। এ উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন দেশও ভ্রমণ করছেন। অন্য পরিকল্পনার মধ্যে ছিল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির কাছে কোম্পানি শেয়ারের প্রস্তাব দিয়ে দায় চাপিয়ে দেওয়া। এ ছাড়া ইভ্যালির তিন বছর পূর্ণ হলে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্তির পর শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে দায় চাপানোর পরিকল্পনা নেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাসেলের ঢাকার মোহাম্মদপুরে স্যার সৈয়দ রোডের বাসায় ঘণ্টাখানেক অভিযান চালানোর পর বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে তাদের সাদা গাড়িতে করে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাতে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ইভ্যালি ডটকমের চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে পণ্য কিনতে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা দেন। ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন প্রতিষ্ঠানের দুই কর্ণধার।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ইভ্যালি পণ্য বিক্রির নামে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁর মতো অসংখ্য গ্রাহকের ৭০০-৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪.কম/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ