34 C
আবহাওয়া
৭:১৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ৩০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » তীব্র তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্য সমস্যা ও করণীয়

তীব্র তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্য সমস্যা ও করণীয়


বিএনএ,ডেস্ক: দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রত্যেক দিন তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। তীব্র গরমে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। এ অবস্থায় শিশুদের সুরক্ষায় রোদ পরিহারের পাশাপাশি যত্রতত্র পানি, রাস্তার পাশের খোলা জুস-শরবত পান থেকে বিরত থাকা এবং আইসক্রিম না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানীতে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ উঁচুতে উঠছে।

গত কয়েকদিনের গরমে শিশুদের কষ্ট বেশি হচ্ছে। এ গরমের কারণে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে  হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার অস্বাভাবিক।

বর্তমানে অতিরিক্ত গরমে ডায়রিয়ার পাশাপাশি সর্দি-কাশি নিয়েও অসংখ্য রোগী একটু সিরিয়াস অবস্থা হলেই হাসপাতালে যাচ্ছেন। এর বাইরেও অসংখ্য রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা স্থানীয় ফার্মেসিগুলো থেকে ওষুধ এনে খাচ্ছেন। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, রাজধানীর প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে বাচ্চারা কোনো না কোনো অসুখে আক্রান্ত। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো বাইরের খাবার। এখন বাইরে প্রচণ্ড ধুলাবালি থাকে, যেগুলো বাতাসের মাধ্যমে উড়ে গিয়ে খাবারে গিয়ে পড়ে।

অনেকেই গরমের কারণে বেশি পরিমাণ ঠান্ডা পানি ও কোল ড্রিংকস পান করেন। এগুলোও অসুস্থতার বড় কারণ। এগুলোর মাধ্যমে জ্বর-সর্দি ও কাশি বেড়ে যায়। এমন অসংখ্য রোগী  নিয়মিত হাসপাতাল মুখী। তাই ঠান্ডা জাতীয় কিছু খাবারের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

তীব্র গরমের এ সময়ে শিশুদের ঘাম যেন গায়েই না শুকায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। আরও ভালো হয় যদি দু-একটা ওরস্যালাইন খাওয়া যায়। কারণ, গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায়। শুধু পানি পান করলে সেটা অনেক সময় ঘাটতি পূরণ করতে পারে না। তাই লবণ মিশিয়ে পানি পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

গরমের সময় যারা বাইরে বের হবেন, তারা একটু ঢিলেঢালা কাপড় পরার চেষ্টা করবেন। কারণ, জামা-কাপড় বেশি টাইট হলে শরীর থেকে গরমটা সহজে বের হতে পারে না

বিএনএনিউজ/ রেহানা

Loading


শিরোনাম বিএনএ