35 C
আবহাওয়া
২:২২ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশুই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না: প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশুই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না: প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশুই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না: প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না, কোনো মানুষই ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে না, সব মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যেমন ফুটবল খেলতেন, তার দাদাও খেলতেন আর আমার ভাইয়েরা তো খেলতেনই। এমনকি ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-পুতিরাও খেলাধুলা করে। এ জন্য তার সরকার আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার নানারকম ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শিশুদের ভালোবাসতেন এবং শিশুদের জন্য তার অত্যন্ত দরদ ছিল। শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেও তিনি ভালোবাসতেন। এজন্য তার জন্মদিনকে আমরা ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছি। কারণ, শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত এবং তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,  জাতির পিতা ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করার মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। দুস্থ-অনাথ শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিশু আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। তিনি এসব শিশুদের জন্য ‘কেয়ার অ্যান্ড প্রটেকশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে সরকারি শিশু পরিবার নামে পরিচিত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখে স্বপ্নিল বিশ্বাস।

শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে দুই শিশু রুবাবা তোহা জামান ও এ এল শরফুদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

জেলা প্রশাসন আয়োজিত চিত্রাঙ্কন এবং জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানের লেখা ‘শিশুদের শেখ মুজিব’ শিরোনামের একটি সচিত্র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

এছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত সেরা চিত্রকর্ম অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক হিসেবে উপহার দেওয়া হয়। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে একশ অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে আর্থিক অনুদান হিসেবে সবাইকে দুই হাজার ৫শ টাকা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান এবং গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনএ/ ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ