29 C
আবহাওয়া
৬:২৭ পূর্বাহ্ণ - জুলাই ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিমানের ১ হাজার ১ শত ৬৪ কোটি টাকা ক্ষতি, ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

বিমানের ১ হাজার ১ শত ৬৪ কোটি টাকা ক্ষতি, ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট


বিএনএ ডেস্ক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জন্মলগ্ন থেকে লোকশান দিয়ে আসছে। এর নেপথ্য কারণ প্রতিষ্ঠানটির হরিলুট।  কিছুতেই এই হরিলুট থামানো যাচ্ছে না।  তবে এবার নজর পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের।  হরিলুটের বিষয়ে তৎপর হয়েছে দুদক। সংস্থাটি  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের  সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এতে মিসর থেকে বোয়িংয়ের দুই উড়োজাহাজ লিজ গ্রহণ ও রি-ডেলিভারি পর্যন্ত ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৫ মে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক এ চার্জশিট দাখিল করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৩ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক জেসমিন আক্তার। তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ২৩ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন জন স্টিল, সাবেক পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনস ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম সিদ্দিক , সার্ভিসেস অ্যান্ড অডিটের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদ হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, লুৎফর রহমান ও প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)র  সহকারী পরিচালক (এওসি-এয়ারওয়ার্দিনেস) মোহাম্মদ সফিউল আজম, সহকারী পরিচালক (এরোস্পেস/ এভিয়নিক্স) দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন, উপ-পরিচালক আব্দুল কাদির ও এয়ারওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ার।

চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭ ও ২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ফের ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। ফলে উড়োজাহাজ দুটির জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় ১ হাজার ১শত ৬৪ কোটি টাকা।

বিএনএনিউজ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী/এইচ.এম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ