36 C
আবহাওয়া
১:৪৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করেছে চবি শিক্ষক সমিতি

পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করেছে চবি শিক্ষক সমিতি

পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করেছে চবি শিক্ষক সমিতি

বিএনএ, চবি: প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষকদের জৈষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন, সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে গড়িমসি এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ ও চারুকলা ইন্সটিটিউটে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনের ব্যাপারে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থতাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২২।
উক্ত মানববন্ধনের প্রতিবাদে ‘ অবৈধ মানববন্ধন মানি না ‘ ব্যানারে পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ ও তার অনুসারী সাধারণ শিক্ষকরা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সমিতির সভাপতি সমর্থকবৃন্দ। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষকরা।

এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক সমিতির অব্যাহত দাবি সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন না করে চরম ভারসাম্যহীন একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক বছরের অধিক সময় ধরে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত বেশ কিছু শিক্ষকের পদোন্নতি বোর্ড সভা সম্পন্ন না করে বারংবার সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের ব্যাপক হয়রানি ও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম হচ্ছে। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি সৃষ্টিশীল জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র চারুকলা ইনস্টিটিউটে প্রায় ২.৫ আড়াইমাস যাবত চলমান অচলাবস্থা নিরসনের ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে চরম প্রশাসনিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়গুলো বারবার জানানোর পরেও প্রশাসন এ নিয়ে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেয়নি। এ কারণেই আমাদের বাধ্য হয়ে মানবন্ধনে আসতে হয়েছে। উল্লেখিত বিষয়ে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে যদি সন্তোষজনক সমাধান না আসে তাহলে আমরা পরবর্তীতে আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করব।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলাহ বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই একটি নির্দিষ্ট আইনের অধীনে চলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ নামে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। তবে এর কার্যকারিতা নেই। এই কথাগুলো মানববন্ধনে এসে আমাদের বলতে হচ্ছে। বিষয়টা খুবই লজ্জাজনক।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, ইঞ্জিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা। এছাড়াও হলুদ দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দার চৌধুরীও এতে উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বারবার অনুরোধ করা হলেও সমিতির তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সমিতির সাধারণ সভায় বিভিন্ন বিষয় তিনি উত্থাপন করে পাস করিয়ে নেন। শিক্ষকদের পদন্নোতির বিষয়ে প্রশাসন কাজ করলেও তারা আজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। চারুকলা ইনস্টিটিউট নিয়েও প্রশাসন কাজ করলেও হীন ব্যক্তি স্বার্থে, প্রশাসনের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে মানববন্ধন করছে তারা। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য তাদের এই অবৈধ মানববন্ধনের বিরুদ্ধে আমাদের আজ এই অবস্থান।
এময় মানববন্ধনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাহবুবুল আলম, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

বিএনএ/ সুমন বাইজিদ, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ