বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪ জন। ৭২ জন আরোহীর কেউ জীবিত উদ্ধার না হওয়ায় মনে করা হচ্ছে বাকি চার জনও প্রাণ হারিয়েছেন। যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হলেও দেশটির বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
কয়েকশ নেপালি সেনা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। অন্ধকারের কারণে রাতের বেলা উদ্ধার তৎপরতা স্থগিত রাখা হয়। সোমবার আবারও উদ্ধার অভিযান শুরুর কথা রয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সোমবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন। বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে সরকার।
নেপালের বিমান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা। কিন্তু তদন্তে জানা গেছে, বিমানটি রানওয়ে ছোঁয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই ভেঙে পড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আবহওয়া ঝকঝকে ছিল। পোখরা উপত্যকায় আকাশও পরিষ্কার ছিল। যাত্রিবাহী বিমানটি বিমানবন্দর ছোঁয়ার ১০ সেকেন্ড আগে ভেঙে পড়েছে। ব্ল্যাকবক্সের তথ্য থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) জানিয়েছে, পোখরা বিমানবন্দরের রানওয়ে পূর্ব-পশ্চিম দিক বরাবর। এটিসির দাবি, প্রাথমিকভাবে পাইলটকে পূর্বদিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে যদিও পাইলট পশ্চিম দিকে নামার জন্য এটিসির কাছে অনুমতি চান। তাকে নামার জন্য অনুমতিও দেওয়া হয়। কিন্তু রানওয়ে ছোঁয়ার ১০ সেকেন্ড আগেই সেটি ভেঙে পড়ে।
রোববার সকালে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের যাত্রিবাহী বিমান এটিআর-৭২ সেতি গন্ডকি নদীর ধারের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। বিমানে ক্রু সদস্য নিয়ে মোট ৭২ জন ছিলেন। বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখরা আসছিল।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল এটিআর-৭২ বিমানটি। তাতে ৫৩ জন নেপালি, ৫ জন ভারতীয়, এক জন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা, দু’জন কোরীয়, এক জন আর্জেন্টিনীয় এবং এক জন ফরাসি যাত্রী ছিলেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ
Total Viewed and Shared : 111