26 C
আবহাওয়া
১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ - মে ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল:সংসদীয় আসন-৯৪(নড়াইল-২)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল:সংসদীয় আসন-৯৪(নড়াইল-২)


বিএনএ,ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে নড়াইল-২ আসনের হালচাল।

নড়াইল-২ আসন 

নড়াইল-২ সংসদীয় আসনটি লোহাগড়া উপজেলা এবং  নড়াইল সদর উপজেলার পৌর এলাকা, বাঁশগ্রাম, তুলারামপুর, মাইজপাড়া, আওয়ারিয়া, চন্ডীবরপুর, শাহবাদ, হবখালি, মুলিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ৯৪তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের শরীফ খসরুজ্জমান বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২০ হাজার ৭৯ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৯ শত ২০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরীফ খসরুজ্জমান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৯ হাজার ৫ শত ৬ ভোট।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মকবুল হোসেন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৩২ হাজার ৫ শত ১৬ ভোট।

৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আব্দুল কাদের শিকদারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে।  নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।  ভোটারবিহীন এই নির্বাচনে আব্দুল কাদের শিকদারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের শরীফ খসরুজ্জমান বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ  ৮১ হাজার ৮ শত ২৯ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪২ হাজার ১শত  ৯৪ জন। নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের শরীফ খসরুজ্জমান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৩ হাজার ৯ শত ১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির  আব্দুল কাদের শিকদার । ধানের শীষ প্রতীকে  তিনি পান ৪২ হাজার ৭ শত ১৮ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৭ শত ৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ১ শত ২৩ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান  ৯৭ হাজার ১ শত ৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত  ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি শহীদুল ইসলাম।  ধানের শীষ তিনি পান ৯৩ হাজার ৮১ ভোট।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা  রংপুর-৬, নড়াইল-১, নড়াইল-২, বরগুনা-৩, এবং গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।  সবগুলো আসনে জয়ী হবার পর, তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেন। জানুয়ারি ২০০২ সালের উপ-নির্বাচনে নড়াইল- ২ আসনে  বিএনপি সমর্থিত ইসলামী ঐক্য জোটের মুফতি শহীদুল ইসলাম নির্বাচিত হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬ শত ৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। নৌকা প্রতীকে তিনি পান মাত্র  ২ হাজার ৫ শত ৮ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এস কে আবু বাকের বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮ শত ৪ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ  ১১ হাজার ৩ শত ৮৫ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এস কে আবু বাকের বিজয়ী হন। নৌকা  প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৫ হাজার ৫ শত ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির শরীফ খসরুজ্জামান। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৯  হাজার ৬ শত ৭৪ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন:  ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৬ শত ২২ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৩ শত জন।  নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান বিজয়ী হন।  নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৯৫ হাজার ১ শত ১৭ ভোট।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। কলস প্রতীকে তিনি পান ২২ হাজার ৩ শত ২০ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাশরাফি বিন মুর্তজা বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮ শত ৪৪ জন।  ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৩ শত ৫৬ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন।  নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মাশরাফি বিন মুর্তজা, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির এ জেড এম ফরিদুজ্জামান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মনিরুল ইসলাম, হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এস এম নাসির উদ্দিন, তারা প্রতীকে জাসদের ফকির শওকত আলী, মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মাহবুবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাশরাফি বিন মুর্তজা বিজয়ী হন।  নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৭১ হাজার ২ শত ১০ ভোট।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এ জেড এম ফরিদুজ্জামান।  ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৭ হাজার ৮ শত ৮৩ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, নড়াইল-২ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ, ষষ্ঠ বিএনপি এবং অষ্টম সংসদের উপ নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী বিজয়ী হয়।

YouTube player

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর নড়াইল-২ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬০.৪০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৪.৭৭%, বিএনপি ২৪.৪৬%, জাতীয় পার্টি ০.৩৪%, জামায়াতে ইসলামী ২৩.৪৫%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৬.৯৮% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৮.২০%। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৪.৯৫%, বিএনপি ৩০.০৪%, জাতীয় পাটি ৫.২৬ %, জামায়াতে ইসলামী ১৫.৫৪ %, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৪.২১% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৭.৯৬% ভোটার।  প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫০.৩৩%, ৪দলীয় জোট ৪৮.২০%, জাতীয় পার্টি ০.৬৯%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৭৮% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৭.৭৩% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট  ৫৯.৬৪ %, ৪ দলীয় জোট ৩৩.১১%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল ৭.২৫% ভোট পায়।

নড়াইল-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য দেশে-বিদেশে ক্রিকেটের আইডল ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা।  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আবারও  মনোনয়ন চাইবেন তিনি।  তাঁর মনোনয়ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত।  মাশরাফি বাদে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা কমিটির সভাপতি সুভাষ বোস, সহসভাপতি আসিফুর রহমান বাপ্পী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তাপস ও আওয়ামী লীগ নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ হাসান ইকবাল।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও সহসভাপতি জুলফিকার আলী। ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও জেলা জাসদের  নেতা অ্যাডভোকেট হৈমাতুল্লাহ হিরু দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, নড়াইল-২ সংসদীয়  আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। এর অন্যতম কারণ দলীয় কোন্দল নেই। মাশরাফি বিন মর্তুজা রাজনীতিতে একেবারেই নতুন হলেও ব্যক্তি ইমেজে অপ্রতিরোধ্য। খেলার মাঠে যেমন সফল মাশরাফি তেমন সফল রাজনীতিতেও।  এলাকায় বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে একটি শক্ত ভিত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের একমাত্র নির্ভরতার জায়গা বলে মনে করা হচ্ছে মাশরাফিকে।

বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা তেমন ভাল নয় তার ওপর রয়েছে কোন্দল। নির্বাচনের আগে বিএনপির সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় কোন্দল নিরসন। জাতীয় পার্টি অন্যান্য দলের সাংগঠনিক তৎপরতা কাগজে কলমে। জামায়াতে ইসলামীর সংগঠনিক তৎপরতা দেখা না গেলেও তাদের প্রচুর ভোট রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর ভোট বিএনপির বাক্সে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে নাড়াইল-২ আসনে অনেকটাই নির্ভার রয়েছে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ৯৪তম নড়াইল-২  সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার  সম্ভাবনাই বেশি।

বিএনএ/ শিরীন সুলতানা, রেহেনা ইয়াসমিন, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ