34 C
আবহাওয়া
৭:১৭ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কাউকে ভয় পাই না : কাদের

কাউকে ভয় পাই না : কাদের


বিএনএ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমাদের শক্তির উৎস জনগণ। আমাদের দেশপ্রেম আছে। বঙ্গবন্ধুর কর্মীরা ভয় পায় না।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনীতির নামে বড় কথা বলে, মিথ্যাচার করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, বিদেশিদের উস্কে দেয়। যাতে বাংলাদেশ সক্ষমতার সঙ্গে চলতে না পারে এবং আরও কষ্টে পতিত হয়।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের বাইরেও খেলা চলছে, চক্রান্ত চলছে। লবিস্ট নিয়োগ করেছে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে। ক্ষমতায় না থাকলেও লবিস্ট নিয়োগের টাকার অভাব নেই। লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, এরা কারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইইউর ৬ জন পার্লামেন্ট সদস্য এখানে মানবাধিকার লংঘন দেখছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে শায়েস্তা করতে বলছেন।

তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল তো জেগে জেগেও স্বপ্ন দেখেন। নির্বাচন নিয়ে বলতে গিয়ে তার মুখের বিষ এত উগ্রো, বলছে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। এমন বিশ্রি মন্তব্য, বিষাক্ত কথা একটি দলের মহাসচিবের মুখ থেকে কী করে বের হয়? আমি তাকে (মির্জা ফখরুল) এবং যারা চিঠি দিচ্ছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, কুত্তা মার্কা নির্বাচন এই শব্দ ব্যবহার করার পরও তাদের ভিসানীতি এখানে কী বলবে? এটা তো সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে, অন্তরায়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিছিলের নামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে, এর জবাব আমরা চাই। যারা বিদেশ থেকে আজ ডেকে কথা বলছেন, বৈঠক করছেন তাদের কাছেও জবাব চাই। এই ঘটনার পর তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এটা কী সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় নয়? এই অন্তরা কারা সৃষ্টি করছে? বিএনপির দোসররা। আর যদি এরজন্য গ্রেপ্তার করা হয়, তখন বলবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এসব অভিযোগের অন্ত নেই।

মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনকে তিনি খারাপ ভাষায় অবহিত করেন। তিনি কি গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি? এগুলো কি কুত্তা মার্কা নির্বাচন? সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিএনপি বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। ক্ষমা চাইতে হবে আপনাকে (মির্জা ফখরুল)। বঙ্গবন্ধুর ছবি যারা ভেঙেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাদের ক্ষমা নেই।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের দেশে যখন অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো ক্ষমতায় এসেছে, তাদের শত্রুর মধ্যে একটি শত্রু ছিল গাছ। তারা বনজ সম্পদ উজাড় করেছে। জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবাই এ কাজটি করেছে। বৃক্ষকে তারা শত্রু বানিয়েছে। তার মানে পরিবেশকে আমরাই বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছি।

‘আজকে ইকোনোমিস্টের মতো ম্যাগাজিনের সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ১৪০টি দেশের মধ্যে ১৩৭তম অবস্থানে। এটি বসবাসের যোগ্য ও অযোগ্য দেশের সমীক্ষা ছিল। বসবাসের অযোগ্য শহরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। অথচ উন্নয়ন ও অর্জনে আমরা বিশ্বের বিস্ময়। কিন্তু আমাদের রাজধানী আজ বসবাসের অযোগ্য। এর মূল কারণ হচ্ছে সবুজ নিধন, বৃক্ষ নিধন। আমাদের নদীগুলো দূষিত। ঢাকার আশপাশের কোনো নদীতে বিশুদ্ধ পানি নেই। ঢাকা শহরের বায়ুর মান খারাপের দিক দিয়ে কোনো কোনো দিন বিশ্বের এক নম্বরে চলে আসে। আমাদের উন্নয়ন ও অর্জনকে এসব পরিস্থিতি লজ্জা দেয়। ’

তিনি বলেন, কৃষি বাঁচলে, কৃষক বাঁচবে, কৃষক বাঁচলে, বাংলাদেশ বাঁচবে- এই স্লোগানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরদার করেছেন। এই স্লোগান তিনি শুধু মুখে ধারণ করেননি, এর বাস্তবায়নে নানা কর্মসূচি নিয়েছেন। যে কর্মসূচির কারণে, আজ বিশ্বে জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রিজার্ভের ঘাটতি এসবের মধ্যে কৃষি ঠিক আছে বলে বাংলাদেশ ঠিক আছে। কৃষিই বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। এটিই সত্য। কৃষিতে যে যুপোযোগি সিদ্ধান্ত নেত্রী বাস্তবায়ন করেছেন, গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণ করেছে, তার জন্য আজ আমাদের খাদ্য ঘাটতি নেই।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।

আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মাহবুব-উল-আলম শান্তি, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, এস এম আকবর আলী চৌধুরী, হোসনে আরা, কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম হিরন, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, নুরে আলম সিদ্দিকী হক, নাজমুল হক পানু প্রমুখ।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ