28 C
আবহাওয়া
৯:৩১ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামির মৃত্যু

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামির মৃত্যু

হান্নান

বিএনএ, ময়মনসিংহ: মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হান্নান (৮৬) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৫ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রিশাল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার তপন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক এ সদস্য। তিনি ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন। ত্রিশালের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন ২০১৫ সালের ১৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ওই মামলাটি করেন। গ্রেফতারের পর থেকে ওই মামলায় কারাভোগ করছিলেন সাবেক এ এমপি। গত সপ্তাহে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিএসএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে মারা যান তিনি।

এর আগে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওই দিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং তার ছেলে রফিক সাজ্জাদকে একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইদিনে ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগগুলো হলো—

প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের গোলকীবাড়ী বাইলেনের প্রখ্যাত ভাস্কর আব্দুর রশিদকে অপহরণ, নির্যাতনের পর জিপ গাড়ির পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে টেনেহিঁছড়ে নির্মমভাবে হত্যা ও লাশ গুম করা।

দ্বিতীয় অভিযোগ: একাত্তরের ২ অগাস্ট ত্রিশাল থানার বৈলর হিন্দুপল্লী ও মুন্সিপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, সেন্টুকে গুলি করে হত্যা ও দুই জন হিন্দুকে গুলি করে আহত, শহীদ আ. রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলি করে হত্যার ঘোষণা দেওয়া হয়।

তৃতীয় অভিযোগ: একাত্তরের ৭ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে বৈলরের আ. রহমান মেম্বারকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম করা হয়।

চতুর্থ অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে খন্দকার আব্দুল আলী রতনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম।

পঞ্চম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে মো. আবেদ হোসেন খানকে আটক, নির্যাতন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর। এছাড়া ৭ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে কে এম খালিদ বাবুকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা ময়মনসিংহ শহরের জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল, অভিযুক্ত এমএ হান্নানের রামবাবু রোডের ৫৯ নম্বর বাড়িকে ‘টর্চারসেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে  উল্লেখ করা হয়।

বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ