30 C
আবহাওয়া
৯:২১ পূর্বাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে নিহত চারজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে নিহত চারজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে নিহত চারজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

বিএনএ, ঢাকা: দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন পর বুঝিয়ে দেয়া হলো রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের আগুনে নিহত চারজনের মরদেহ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহ‌ম্মেদ জানান, রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিকল্পিত আগুনের ঘটনায় পুড়ে যাওয়া চার মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ।

নিহতরা হলেন রাজবাড়ির আবু তালহা (২৩), চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও এলিনা ইয়াসমিন (৪৪) ও পুরান ঢাকার নাতাশা জিয়াসমিন নেকি (২৫)। আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে ওই চার মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফেরদাউস আহ‌ম্মেদ আরও জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি মরদেহ একেবারেই পোড়া ছিল। পোড়া মরদেহ শনাক্ত করার উপায় ছিল না। তাই তাদের স্বজন পরিচয় দেওয়া পরিবারের সদস্য ও মরদেহের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ল্যাবে ক্রসম্যাচিং করা হয়। সেখানে উভয়ের ডিএনএ মিলে গেলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ৫ জানুয়ারি রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। তখন আগুনে পুড়ে চারজনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ হন আটজন। ওই রাতেই বেনাপোল এক্সপ্রেস চলাচল স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর ১১ জানুয়ারি থেকে ট্রেনটি ফের চালু হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশা জিয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রিমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।

এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেছেন। আমার বাচ্চা সারাজীবন কি বলবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই।

নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহাম্মেদ বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝে পেলাম। এই ৪০দিন যে আমাদের পরিবার কীভাবে কেটেছে তা বোঝানো যাবে না। এরকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয় এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ