25 C
আবহাওয়া
৩:৩৫ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ক্ষমতা প্রয়োগ করবো: মো. সাহাবুদ্দিন

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ক্ষমতা প্রয়োগ করবো: মো. সাহাবুদ্দিন

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ক্ষমতা প্রয়োগ করবো: মো. সাহাবুদ্দিন

বিএনএ: আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা একটি চ্যালেঞ্জ। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করবো। এ কথা বলেছেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব পালনে যদি ক্ষমতাসীন বা বিরোধী দল ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তার করার কিছু নেই। তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চান।

সোমবার (১৩ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে একাধিক সাক্ষাৎকারে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এসব কথা বলেন। এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক, এটা সারা বিশ্ব চায়, জনগণও চায়। জনগণ দেশের মালিক, তারা যেন নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন সেই চেষ্টা করা হবে। এক্ষেত্রে জনগণকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু করতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের ভোট দিতে হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের পরিবেশটাকে নষ্ট করা হলে তখন কিছু কিছু কাজ রাষ্ট্রপতির করার থাকে। তখন পিছপা হবেন না জানিয়ে বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা রাখবেন। ন্যায়ভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যাতে সেখানে পক্ষপাতিত্বের কোনো চিহ্নও না থাকে। মানুষ যেন উপলব্ধি করতে পারে, রাষ্ট্রপতি যে কাজ করেছে তা দেশের জন্যই করেছে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পেশাগত জীবনের আগে তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। এটা তো সত্য, লুকানো যাবে না। বলেন, ছাত্রলীগের পাবনা জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পূর্বে ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এ ১১ দফা, মুক্তিযুদ্ধসহ তখন সকল আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, অনেকে সাঁওতাল বিদ্রোহের কথা জানেন। কিন্তু ভুট্টা আন্দোলনের কথা জানেন না। আইয়ুব-ইয়াহিয়ার রেশনে দেয়া ভুট্টা খেয়ে দুই-তিন জন মারা যায়। তখন পাবনায় ভুট্টা আন্দোলন নামে একটা আন্দোলন হয়েছিল। পাবনার মানুষ সশস্ত্র বিদ্রোহ করেছিলো তখন। ওই সময় রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলেন জানান মো. সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশাল প্রসঙ্গে নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাকশালের কর্মসূচি ছিল জনমূখী ও গণমূখী। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এ কর্মসূচি দিয়েছিলেন তিনি। বলেন, বঙ্গবন্ধু তাকে পাবনায় বাকশালের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। এটা তার সৌভাগ্য। ১৯৭৫ সালের জুনে বঙ্গভবনে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার শেষ দেখা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাকশাল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেটি কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র, যুবক, আইনজীবী, পেশাজীবী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের।

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হতে পারি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতে অনকে লজ্জাবোধ পান। স্বীকৃত বিষয় নিয়ে যদি অনীহা প্রকাশ করা হয় তাহলে তো ঐক্য সম্ভব নয়। কিন্তু জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, রাজনীতিতে একপক্ষ আরেক পক্ষকে পৃথিবী থেকে উজাড় করে দিতে চায়।  যেমন হয়েছিলো ১৫ ও ২১ আগস্ট। বলেন, এ ধরনের নির্মমতার কথা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাবতে পারিনি।

জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তাকে যে মহান দায়িত্ব দিয়েছে, তাতে তার প্রথম কাজ কাজ হলো, জাতীয় বিভেদকে ঐক্যে পরিণত করা। বলেন, তার কোনো ঐশ্বরিক শক্তি নেই। তবে তিনি মনে করেন, দেশের অগ্রগতির জন্য একদিন এটা হতেই হবে। সংঘাত নয়, সমঝোতার মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে।

বিএনএনিউজ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ