35 C
আবহাওয়া
১২:১১ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রহিমা নাটকের ‘মাস্টার মাইন্ড’ মরিয়ম মান্নান

রহিমা নাটকের ‘মাস্টার মাইন্ড’ মরিয়ম মান্নান


বিএনএ, খুলনা: খুলনার বহুল আলোচিত অপহরণ মামলা প্রমাণিত না হওয়ায় রহিমা বেগম এবং তার দুই মেয়ে মরিয়ম মান্নান ও আদুরি আকতারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে অপহরণের নাটক সাজানোর প্রমাণ মিলেছে। মূলত রহিমা বেগম অপহরণ হননি, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তিনি ২৮ দিন আত্মগোনে ছিলেন। এই ২৮ দিন তিনি বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করেছেন। গত বছরের ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে তিনি মহেশ্বরপাশার বাসা থেকে আত্মগোপন করার পর ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় কিছুদিন অবস্থান করার পর একটি ব্যাগে কিছু কাপড় ও ওষুধ দিয়ে মরিয়ম মান্নান তাকে বান্দরবান পাঠিয়ে দেন।

সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার পর তিনি চলে যান ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী সৈয়দ গ্রামের জনৈক আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে। সংবাদ পেয়ে ওই বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে উদ্ধারের পর তিনি কোনো কথাই বলছিলেন না। অনেক চেষ্টার পর কথা বলানো সম্ভব হলে তিনি জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝামেলা আছে উল্লেখ করে তারা অপহরণ করেছে বলে বিবৃতি দেন। পরবর্তীতে তাকে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য পাঠানো হলে তিনি একই রকমের মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন। যেহেতু আমরা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে ঘটনাস্থল মহেশ্বরপাশায় পাওয়া যায়। সুতরাং তদন্ত শেষে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামতে শুধুমাত্র জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে এই অপহরণ নাটক সাজানো হয় বলে নিশ্চিত হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, বাদীর আর্জিতে বর্ণিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সমর্থনে উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং দায়ের করানোর অপরাধে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন- এ অভিযোগ তুলে গত বছরের ২৮ আগস্ট তার মেয়ে আদরী খাতুন বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করে। ঘটনার ২৯ দিন পরে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে রহিমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ