34 C
আবহাওয়া
৮:১৯ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দেড় বছর পর বের করা হল পেটে থাকা কাঁচি

দেড় বছর পর বের করা হল পেটে থাকা কাঁচি

দেড় বছর পর বের করা হল পেটে থাকা কাঁচি

বিএনএ, ফরিদপুর: ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় মনিরা খাতুন নামে এক তরুণীর পেটে রেখে সেলাই করে দেয়া কাঁচিটি অপসারণ করা হয়েছে। শনিবার(১১ ডিসেম্বর) একই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়। মনিরা খাতুন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামের খাইরুল মিয়ার মেয়ে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ মার্চ ওই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ ইউনিট-২-তে অস্ত্রোপচার করা হয় মনিরার। রক্ত জমাট বাঁধাজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তার অস্ত্রোপচারের সময় পেটের মধ্যে চিকিৎসকরা অজ্ঞাতসারে কাঁচিটি রেখে সেলাই করে দেন।

অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন পরই মনিরাকে বিয়ে দেয়া হয়। অন্তঃসত্ত্বাও হন তিনি। তবে ভ্রুণ নষ্ট হওয়ায় তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী।এত দিনেও পেটে ব্যথা থাকায় গ্রাম্যচিকিৎসকদেরও দেখানো হয়। সবশেষ বুধবার পেটে অসহনীয় ব্যথা শুরু হলে তাকে মুকসুদপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে এক্সেরেতে কাঁচিটি দেখতে পান চিকিৎসকরা।

মনিরার ভাই মো. কাইয়ুম জানান,শুক্রবার মনিরাকে ফের ফরিদপুর নিয়ে আসা হয়। এখানে এসে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আপার এক্সরে করা হলে একই প্রতিবেদন আসে।এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মনিরার অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে অংশ নেন সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা, সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা সরফউদ্দিন ও রেজিস্ট্রার সালেহ মো. সৌরভ। তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে মনিরার পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়।

অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা জানান, তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপাচার সফল হয়েছে। মনিরার সংজ্ঞাও ফিরেছে।দীর্ঘদিন কেঁচিটি পেটের মধ্যে থাকায় পেটের নাড়িতে পেঁচিয়ে যায় এবং একটি নাড়িতে পচন দেখা যায়। রোগী নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ৭২ ঘণ্টা না গেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

বিএনএ/ ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ