বিএনএ, পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদীতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে পশ্চিমাঞ্চল রেলের সূচিতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রতিটি ট্রেন প্রায় ১ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে চলাচল করছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) উপজেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে উপজেলায় এটিই সর্বনিম্ন। এমন অবস্থায় দূরবর্তী গন্তব্যে যাতায়াতে যাত্রীদের দুর্ভোগও বেড়েছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাকশী রেলওয়ে বিভাগের অধীনে ৩৮টি আন্তনগর ট্রেন, ৩১টি মেইল ট্রেন ও ৬টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। ঘন কুয়াশার কারণে বেশির ভাগ যাত্রীবাহী ট্রেনই বিলম্বে চলাচল করছে। এরই মধ্যে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ বেশির ভাগ ট্রেন বিলম্বে চলাচল করেছে।
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে বুধবার কয়েকটি ট্রেন বিলম্বের কথা স্টেশন কর্তৃপক্ষ প্ল্যাটফর্মের মাইকের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়। স্টেশনের মাস্টার মো. তৌহিদ বলেন, সাগরদাঁড়ি, মধুমতী, কপোতাক্ষসহ কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করলেও বেশির ভাগ ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বলেন, প্রতিবছরই ঘন কুয়াশায় চালকরা হেডলাইট জ্বালিয়ে গতি কমিয়ে ট্রেন চালান। কুয়াশা কমে গেলে ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করতে পারবে।
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে কর্মরত ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার) জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে রেল কর্তৃপক্ষ প্রতি শীতেই ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা দেয়।
পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ ও ওয়াগন) মুনতাজুল ইসলাম জানান, ফগ ডিভাইসসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির কথা শোনা গেলেও কুয়াশার মধ্যে দ্রুতগতিতে ট্রেন চালানো যায়, এমন কোনো প্রযুক্তি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। কিছুটা বিলম্ব হলেও ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন বলেন, গত সপ্তাহজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল। এখন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ