বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতে বাংলার ইলিশ আসতে শুরু করে। তবে এবার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে, ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশ রপ্তানির জন্য আবেদন জানিয়েছে। পদ্মার ইলিশ এপার বাংলার মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সুবিধার কারণ, এর বিক্রি থেকে লাভ হয় প্রচুর।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করা হচ্ছে। এবারও সেই নিয়ম অনুযায়ী ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা ও আসামেও বাংলাদেশের ইলিশ পৌঁছায়। পুরো বছরজুড়ে এপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। পূজায় বাংলাদেশের ইলিশ থাকলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। গত বছর ১,৩০০ টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে। তবে এবার কতটা ইলিশ আসবে বা আদৌ আসবে কিনা, তা নিয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, এবং ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ অবস্থায় ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, দেশের চাহিদা পূরণের পরই ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হবে। ইলিশের দাম স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে, তাই দাম কমিয়ে দেশের মানুষের জন্য সহজলভ্য করার উদ্যোগ নেয়া হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবেনা, আর রপ্তানি হবে সেটা হতে পারে না।
বিএনএনিউজ২৪/ রেহানা,এসজিএন/হাসনা