31 C
আবহাওয়া
১১:৫৩ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঢাকা ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক

ঢাকা ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক

ঢাকা ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ঢাকা ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক আশিকুর রহমান লস্কর। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় চট্টগ্রামে একের পর এক নিলামে উঠছে জামানত রাখা সম্পত্তি।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালত নির্দেশে ঢাকা ব্যাংক স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

আদালত সূত্র জানায়, এআরএল শিপব্রেকিং লিমিটেড এবং মেরনি শিপ রিস্লাইকেলিং ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠান দুইটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকদের ১৯৯ কোটি ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ টাকা পাওনা আদায়ে সম্পত্তি নিলামে তুলছে ঢাকা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ  হওয়ায় সম্পত্তি নিলামে তোলা হচ্ছে।

তারা হলেন- এআরএল শিপব্রেকিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিউর রহমান লস্কর, মিসেস রুবাইয়া লস্কর, মো. আশিকুর রহমান লস্কর এবং মিসেস শামসুর নাহার লস্কর।

পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখার ঋণগ্রহীতা এআরএল শিপব্রেকিং লিমিটেড এবং মেরনি শিপ রিস্লাইকেলিং ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকদের নিকট ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ১ শত ৯৯ কোটি ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ টাকা পাওনা রয়েছে। ঋণগ্রহীতাদের সম্পত্তি  ২০১১ সালের ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বরের রেজিষ্ট্রিকৃত ৭৮১৯ নম্বর বন্ধক দলিল বিগত ২০১১ সালের ১৭ অক্টোবর রেজিষ্ট্রিকৃত ১৭০২৬ নম্বর বন্ধক দলিল এবং বিগত ২০১৩ সালের ২৪ ও ২৫ মার্চ রেজিষ্ট্রিকৃত ৪৪৯৭ নম্বর বন্ধক দলিলমূলে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড বরাবরে বন্ধক রাখে। একই তারিখ সমূহে রেজিষ্ট্রিকৃত আমমোক্তারনামা দলির সম্পাদন করেছে। ঋণ বাবদ পাওনা টাকা ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের পাওনা আদায়ের নিমিত্তে বন্ধকী দলিল ও আমমোক্তারনামা বলে তফসিল বর্ণিত বন্ধককৃত স্থাবর সম্পত্তি নিলামের মাধ্যমে বিক্রির জন্য শর্তাদিতে সীলমোহরকৃত দরপত্র আহ্বান করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া কোনো রকম ব্যাংকিং নিয়ম কানুন না মেনে আশিকুর রহমান লস্করের পরিবারকে ১২০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা। এর ফলে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে পুরো টাকাই। বিপুল পরিমাণ এই ঋণ আদায়ে যথাসময়ে মামলাও দায়ের করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গ্রহণ করা হয়নি ঋণের বিপরীতে সহায়ক জামানতও। ঋণ বিতরণ থেকে শুরু করে মামলা দায়ের পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার পরতে পরতে গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়েছে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের কাছে। এ ঘটনায় আদালত এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজারকে শোকজ করেছেন।

শুধু ঢাকা ব্যাংক কিংবা এবি ব্যাংকই নয়, ওই ব্যবসায়ী পরিবারটির কাছে ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৭৫ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১০০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১০০ কোটি, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৭২ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২৯ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকের ২৪ কোটি, ফার্স্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১৯ কোটি এবং মেরেডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১২ কোটি টাকা পাওনা আটকে রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্যাংকের মামলায় গত ৫ মার্চ আদালত দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিলে পরদিনই দুবাই পাড়ি জমান আশিকুর রহমান লস্কর।

বিএনএ/বিএম, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ