19 C
আবহাওয়া
৬:০৫ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাংলার মানুষ আর কোন গোঁজামিলের সমাধান গ্রহণ করবে না

বাংলার মানুষ আর কোন গোঁজামিলের সমাধান গ্রহণ করবে না

দলিল মুক্তিযুদ্ধের দলিল

শিরোনাম :

রাজনৈতিক সমাধানের প্রশ্নে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম কর্তৃক ৬ই জুনে পেশকৃত চার দফা প্রস্তাব

সূত্র : জয় বাংলা

তারিখ : ১৮ জুন, ১৯৭১

বাংলার মানুষ আর কোন গোঁজামিলের সমাধান গ্রহণ করবে না –সৈয়দ নজরুল ইসলাম

গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম গত ৬ই জুন সংগ্রামী বাঙ্গালী জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত এক বেতার ভাষণে বলেন, গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আটক সকল গণ-প্রতিনিধিদের অবিলম্বে মুক্তিদান, বাংলাদেশের মাটি থেকে হানাদারবাহিনী ফিরিয়ে নেয়া, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদান এবং পশ্চিম পাকিস্তানী শোষকশ্রেণী কর্তৃক এ যাবৎ বাংলাদেশ থেকে অপহৃত ধনসম্পদ ও গত আড়াই মাসের লাড়াইয়ে হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের যে ক্ষতিসাধন করেছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে তা নির্ণয় করে লুণ্ঠিত ধন প্রত্যর্পণ ও পূর্ণ ক্ষতিপূরণের দ্বারাই কেবল রাজনৈতিক সমাধান আসতে পারে অন্যথায় রাজনৈতিক সমাধানের কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না।

তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় রাজনৈতিক সমাধান বা আপোস মীমাংসা সম্পর্কে যে জল্পনাকল্পনা চলছে সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ কোন গোঁজামিলের সমাধান গ্রহণ করবে না।

আমাদের অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান বলিষ্ঠ কণ্ঠে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনদিন সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে সকল বাঙালী  হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টান একসাথে লড়েছেন- বুকের তপ্ত লহু ঢেলে দিয়ে বাংলার মাটি সিক্ত করে তারা এটাই প্রমাণ করেছেন যে, এদেশের প্রতিটি প্রাণ ঐক্যবদ্ধ, অভিন্ন।

স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রামে হিন্দু কৃষক জীবন দিয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন মুসলমান কৃষক। মসজিদ পুড়েছে হানাদার দস্যুদের হাতে, পুড়েছে মন্দির গীর্জা, আর বৌদ্ধ বিহার বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্বর পাক-সেনারা হত্যা করেছে ডঃ গোবিন্দ দেব, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা ও ফজলুর রহমানকে। আমরা একসঙ্গে লড়েছি, একই সাথে জয়ী হবো। এবং জয়ী আমরা হবই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, হানাদার দস্যু ইয়াহিয়ার বর্বর সৈনিকদের নির্মম অত্যাচারে কৃষক-মজদুর, ছাত্র-শিক্ষক, মধ্যবিত্ত আর অসংখ্য মানুষ বাংলার শ্যামল মাটির বুক ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন! তাদের তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, শত্রুহননের পর মুক্ত স্বদেশে ফিরে আমরা তাঁদের আপন ভিটেমাটিতে প্রতিষ্ঠিত করবই।

এই প্রসঙ্গে আমাদের অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান দেশত্যাগ করে যে সব বাঙালী ভাই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত আর বার্মায় আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের সাহায্য করায় ভারত সরকার ও বার্মা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের বিরত্বের প্রশংসা করে সৈয়দ নজরুল ইলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সীমিত সামর্থ্যের জন্য আপনাদের প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন রণাঙ্গনে আপনারা যে অসীম অটল মনোবলের পরিচয় দিচ্ছেন, তার জন্যে সারা বাঙালী জাতি গর্বিত। দেশমাতৃকার বীর সন্তান আপনারা। এ সংগ্রামে আপনাদের যেসব সাথী শহীদ হয়েছেন, যারা পঙ্গু হয়েছেন তাদের পরিবারবর্গের রক্ষণাবেক্ষণের পুরো দায়িত্ব আমার সরকার ইতিপূর্বেই গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, মুক্তিবাহিনীর বীর সৈনিকেরা আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।

(বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র-তৃতীয় খণ্ড) পৃষ্ঠা নং:- ৫৩/৫৪

চলমান………………………….

বিএনএনিউজ/জুয়েল বড়ুয়া

Loading


শিরোনাম বিএনএ
দ.কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি, আবার প্রত্যাহার, লংকাকান্ড সাভারে পাঁচ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা ইফার দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত আ’লীগ আমলে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার তালিকা চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠি ‘স্মার্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বিষয়ক কর্মশালা শুরু নতুন উপকূলীয় গ্যাস অনুসন্ধানেও বিনিয়োগ করবে শেভরন ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূমি হারিয়ে যেতে পারে প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে কাজ করছে সরকার আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পরিষ্কার রোডম্যাপ আছে--বাণিজ্য উপদেষ্টা সেন্টমার্টিনকে বর্জ্য মুক্ত করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ