27 C
আবহাওয়া
৯:০১ অপরাহ্ণ - মে ৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফেনী নদীর বালু উত্তোলন,নদীগর্ভে ৬ কিমি ফসলি জমি

ফেনী নদীর বালু উত্তোলন,নদীগর্ভে ৬ কিমি ফসলি জমি


বিএনএ  ডেস্ক: ফেনী নদী থেকে বছরের পর বছর বালু তোলায় জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ও গোপাল ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে বসতবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থান।স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৬ কিমি ফসলি জমি ও বিস্তীর্ণ জনপদ।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের নির্দেশনায় বালু উত্তোলন বন্ধ থাকাতে এলাকাবাসী সাময়িক স্বস্থিতে থাকলেও এ ব্যপারে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

রোববার (১০ মার্চ) ফেনী নদীর পূর্ব ঘোপাল অংশে সরকারি ভেড়ি বাঁধের আশেপাশে ফসলি ভূমি রক্ষা এবং অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে মানববন্ধনও করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মানববন্ধনে স্থানীয়রা নিজেদের সর্বশেষ সম্বল রক্ষায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান।

দেখা যায়, ফেনী নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল এখন নদীর দখলে। দূর থেকে মনে হতে পারে বড় কোনো নদী এটি। কিন্তু নদীর পথ পাড় থেকে প্রায় ৬ কিমি দূরে। বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভেঙে চরাঞ্চলে তৈরি হয়েছে আরেক নদী। এতে একে একে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক কিলোমিটার অংশের ফসলি জমি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কয়েকবছর আগে যেসব জায়গায় বিভিন্ন মৌসুমী ফসল চাষাবাদ হতো, সে এলাকা এখন নদীর দখলে।  বালু উত্তোলনের ফলে ফেনী নদী এতই প্রশস্ত হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

দেখা গেছে, নদীর পাড়ের জমিগুলোতে খিরা, তরমুজ, ধনিয়া, সরিষাসহ নানান মৌসুমী সবজি চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে নদীর পাড় ঘেঁষা জমিগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পর বালুগুলো ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে শুভপুর, মুহুরী ব্রিজ, লেমুয়া, ধুমঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে সেখান থেকে বিক্রয় কেন্দ্রে রেখে তা বিক্রি করা হয়ে থাকে।  মিরসরাই অংশের মোবারকঘোনা থেকে মুহুরী প্রজেক্ট পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিদিন ওইসব এলাকার সাতটি স্থান থেকে সুবিধামতো লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে কয়েকটি প্রভাবশালী মহল।

এ বিষয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ও ঘোপাল ইউনিয়নে বালু উত্তোলনে একের পর এক ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বালু উত্তোলনের ফলে পার্শ্ববর্তী অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর বালু উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪ ডটকম

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ