বিএনএ, ঢাকা : অমর একুশে বইমেলার ২৫ তম দিনে নতুন বই এসেছে ৩১২টি।
বিকাল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় নান্দনিক সমাজ গঠনে আবৃত্তির ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিমাই মন্ডল। কবি জাহিদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লায়লা আফরোজ এবং শাহাদাৎ হোসেন নিপু।
প্রাবন্ধিক বলেন, শুভবোধসম্পন্ন যা আমাদেরকে নন্দিত করে অর্থাৎ আনন্দ দেয় তা-ই নান্দনিক। শুভ চেতনা, সুন্দর চেতনা যখন মঙ্গলময় সমাজ নির্মাণ করে তখন সেটিই হয় নান্দনিক সমাজ। যেকোনো শিল্পই শুভ-সুন্দর চেতনা দিয়ে নান্দনিক সমাজ গঠনে সহায়ক। আবৃত্তি একটি শিল্প বিধায় আবৃত্তিও নান্দনিক সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে। আবৃত্তি মনকে পরিশুদ্ধ করে, চেতনাকে জাগ্রত করে। কবিতার বিষয় এবং পংক্তিসমূহ যদি যথাযথ আবৃত্তির মাধ্যমে অর্থসহ শ্রোতার কাছে পৌছানো যায়,তাহলে সেটা মানুষের নান্দনিক চিন্তা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আলোচকবৃন্দ বলেন, ইতিহাসের ধারাবাহিকতার দিকে তাকালে দেখা যায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত নানা আন্দোলন সংগ্রামে কবিতার ভাষা আবৃত্তির মাধ্যমে গণমানুষের প্রতিবাদের ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আবৃত্তিচর্চা আরো জোরদার হয়েছে। বৈষম্যহীন, মানবিক ও নান্দনিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আবৃত্তিচর্চার পরিসর ও নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাহিদুল হক বলেন,আবৃত্তি এমন এক নান্দনিক শিল্প যা মানুষকে মানবিক ও পরিশুদ্ধ করে তোলে। আবৃত্তিশিল্প অভিনয় শিল্পেরই অংশ। মহৎ কবিদের কবিতায় যে বাণী থাকে তা আবৃত্তিশিল্পী তার অভিনয়-দক্ষতায় মানুষের অন্তরে পৌঁছে দেয় এবং মানুষের মধ্যে মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম ও দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। তখনই সমাজ নান্দনিককতাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।