বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: সরকারি তথ্য অনুযায়ী করোনায় শুক্রবার পর্যন্ত দেশে মারা গেছেন ২৯ হাজার ১০৫ জন। এ এই তথ্য উড়িয়ে দিয়ে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, করোনায় বাংলাদেশে ৪ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) চিকিৎসাবিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমন দাবি করা হয়। তাদের দাবি, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় ৪ লাখ ১৩ হাজারের মত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, মৃত্যুর কারণের তথ্য ঠিকমতো রেকর্ড না করা ও কিছু দেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় মৃত্যু কম করে দেখানো হয়েছে। ফলে এতদিন করোনায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা পাওয়া যায়নি।
ল্যানসেটের গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, মহামারি শুরুর পর এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ৬১ লাখের কাছাকাছি।
গবেষণা বলা হয়, করোনায় সরাসরি ও মহামারির কারণে হওয়া মৃত্যুকেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণে ফুসফুস বা হৃদপিণ্ড অকেজো হয়ে মৃত্যু, করোনা সংক্রমণ পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় মৃত্যু এবং স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকেও বিবেচনায় নিয়েছে গবেষক দল।
গবেষক দলের প্রধান ও ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড এভালুইয়েশনের পরিচালক ক্রিস মুরে বলেন, করোনা মহামারি কল্পনার চেয়েও ভয়াবহ ছিল। করোনায় বৈশ্বিক মৃত্যু প্রায় ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
গবেষক দলের মতে, মৃত্যুর সঠিক হিসাব ছাড়া করোনা মহামারির প্রভাব ভালভাবে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় রাষ্ট্রগুলোকে করোনায় মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান রেকর্ড রাখার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় ৭৪টি দেশ ও অঞ্চলের ডাটা ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, করোনায় সরকারি হিসাবের বাইরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে। দেশটিতে করোনায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় ও প্রায় ১০ লাখ করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিএনএ/এ আর