30 C
আবহাওয়া
৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ - মে ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » প্রতারক ও মানবপাচারকারী রোহিঙ্গা আরিফ এনআইডি বানিয়ে বাংলাদেশি!

প্রতারক ও মানবপাচারকারী রোহিঙ্গা আরিফ এনআইডি বানিয়ে বাংলাদেশি!


বিএনএ, কক্সবাজার : মাত্র কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে আসেন রোহিঙ্গা আরিফ উল্লাহ। এখানে এসে এমন কোন অপরাধ নেই যেখানে আরিফের হাত নেই। মাদক, মানবপাচার, অপহরণ,বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা মেরে প্রতরণাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে সে।

এমন কি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন হাকিম ম্যানশন, শোলক বহর, কসমোপলিটান, চকবাজার পাশলাইশ ঠিকানা দিয়ে তৈরি করে নিয়েছে ন্যাশনাল জাতীয় পরিচয় পত্র(এনআইডি)কার্ডও যার নাম্বার ৮২৫৮১১৯৪৯৭। এছাড়া কক্সবাজারের উখিয়া হাজাম রাস্তার মাথায় বসবাস করে তৈরি করেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট সে কয়েকজন বাংলাদেশীকেও হাত করে নিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ পিতা মোহাম্মদ ছৈয়দ,মাতা গোল বানু মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বুছিধং খোয়াইং ধং বড়পাড়া এলাকায় বাসিন্দা ছিল সে। মাত্র কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে ফাড়িজমান তার পুরো পরিবার। প্রথমে তারা টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় বসবাস করলেও পরে সুযোগ বুঝে সে চলে আসেন উখিয়ার কুতুপালং হাজমরাস্তার মাথায় জমি কিনে বাড়ি ঘর করে বসবাস করে আসছে। সেখানে এসে এমন কোন অপরাধ নেই এই আরিফ করছে না। মাদক, মানবপাচার, অপহরণ,বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা মেরে প্রতরণাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে সে। এমন কি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে তৈরি করে নিয়েছে ন্যাশনাল জাতীয় পরিচয় পত্র(এনআইডি) কার্ড। কক্সবাজারের উখিয়া হাজাম রাস্তার মাথায় বসবাস করে তৈরি করেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট সে কয়েকজন বাংলাদেশীকেও হাত করে নিয়েছে। নানা অপরাধে এই অরিফকে তারাই সহযোগিতা করে তাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরিফ উল্লাহ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের আলী কদম হয়ে অবৈধভাবে গরু ব্যবসার শুরু করে। এই ব্যবসার আড়ালে, ইয়াবা,সিগারেটসহ নানা ধরনের অবৈধ মামলা নিয়ে আসে। এছাড়া গরুর ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী মৌলভী মো জাবেদ,কক্সবাজার লিংকরোড এলাকায় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলাম, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবু তাহের, সিরাজ উল্লাহ,শামীম, স্থানীয় কামরুল হুদা, আলী কদমের বিশ্বজিৎ বড়ুয়া সাহাব উদ্দিন, আব্দুর রহমান, চকরিয়া যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ জিহান।

টাকা মেরে দেওয়ার ঘটনা উখিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ রয়েছে।

অপর দিকে, রোহিঙ্গা আর্থিক সচ্ছল  নারী পুরুষদের টার্গেট করে মালেশিয়া ও থাইলেন্ড পাঠানোর কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন সে। মানব পাচারের বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে আরিফ উল্লাহের কথোপকথন কল রেকর্ড রয়েছে। এই রোহিঙ্গা আরিফের বিরুদ্ধে অপহরণেরও অভিযোগ রয়েছে।

তার শাশুড়ের নাম মিয়ানমারের বাসিন্দা মোহাম্মদ জকরিয়া। তার স্ত্রীর নাম সাজিদা বেগম। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-ইকিনের সাথে মহরম দহরম সম্পর্ক রয়েছে। তাদেরকে ওয়াকি টকি সেট দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তার বড় ভাই মোহাম্মদ জিয়া মিয়ানমারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ইয়াবা ডন হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ থেকে মানুষ বন্ধক রেখে ইয়াবা ব্যবসার যে অবৈধ নিয়ম রয়েছে সেটি তারাই প্রথমে শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলছেন অনেকই। আরিফ উল্লাহ একজন রোহিঙ্গা নাগরিক হয়ে, বাংলাদেশে এনআইডি কার্ড বানিয়ে, নানা অপরাধে দাপড়িয়ে বেড়াচ্ছে সে। স্থানীয় হাজম রাস্তার মাতাসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় তার নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে আরিফ উল্লাহের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, আমার সাথে কিছু মানুষের  টাকার লেনদেন আছে এটি সত্যি। তবে যে ভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে আমি এ ধরণের ভয়ংকর কোন লোক নই।

বিএনএনিউজ/এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/ এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ