ধর্ম ডেস্ক: হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলার কাছে একটু সুপারিশের জন্য নবীদের দ্বারে দ্বারে মানুষ দৌড়াদৌড়ি করবে। সেদিন মহানবী (স.) ছাড়া কারো সাহস হবে না আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করার। নবীজিই প্রথম আল্লাহর কাছে সুপারিশ করার অনুমতি আনবেন এবং তাঁর সুপারিশ কবুল করা হবে।’ (ইবনে মাজাহ-৪৩০৮)
প্রিয়নবী (স.)-এর সুপারিশ লাভের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে, আজান শেষে হাদিসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা।
দোয়াটি হলো- (আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাজিলাহ, ওয়াবআছহু মাক্বামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ) অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই প্রভু! মুহাম্মদ (স.)-কে ওসিলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফজিলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন।’
সাহাবি জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শুনে এই দোয়া পাঠ করবে, কেয়ামতের দিন সে আমার সুপারিশ লাভের অধিকারী হবে।’ (সহিহ বুখারি: ৬১৪)
আজানের দোয়ার মধ্য থেকে ‘ওয়াদদারাজাতার রাফীয়াহ’ এবং ‘ইন্নাকা লা তুখলিফুল মীআ-দ’ দুটি বাক্যাংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘ওয়াদদারাজাতার রাফীয়াহ এবং ‘ইন্নাকা লা তুখলিফুল মীআ-দ’ দুটি সহিহ সনদে বর্ণিত নয়। (বায়হাকি আস-সুনানুল কুবরা: ১/৪১০, ৬০৩/৬০৪)
‘ওয়াদ-দারাজাতার রাফীয়াহ’ বাক্যকে একেবারেই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজার আসকালানি, সাখাবি, যারকানি, আলি কারি প্রমুখ। তাঁদের মতে, ‘মাসনুন দোয়ার মধ্যে ভিত্তিহীন বাক্য বৃদ্ধি করা সুন্নতবিরোধী ও অন্যায়।’ (তালখিসুল হাবির: ১/২১১; আল মাকাসিদ: পৃ-২২২-২২৩; মুখতাসারুল মাকাসিদ: পৃ-১০৭; আল মাসনূ: পৃ-৭০-৭১)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আজানের উল্লেখিত দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। পরকালে নবীজির শাফায়াত নসিব করুন। আমিন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ