বিএনএ ডেস্ক : ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা ৮৫ বছরের বৃদ্ধ তিনকড়ি মিত্র। স্ত্রী ও পুত্রকে হারিয়ে এখন তাঁর ভরসা দুই মেয়ে। তিনকড়ির বাড়িতেই থাকতেন বিবাহিত দুই কন্যা শিপ্রা সাউ এবং শম্পা দত্ত। বাবাও উপহার হিসাবে মেয়েদের বাড়িটি দিয়ে দেন। কিন্তু সেই মেয়েরাই এখন বাড়ি ছাড়া করলেন বাবাকে।
অসহায় অবস্থায় তিনকড়ির ঠাঁই মেলে বন্ধুর বাড়িতে। ফের কবে ফিরে পাবেন নিজের বাসস্থান? জন্মভিটেতেই কি কাটাতে পারবেন জীবনের শেষ কটা দিন? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতে তাঁর আবেদন, বাড়ির অধিকার মেয়েদের উপর হস্তান্তর করার পর থেকেই অত্যাচার শুরু করেছেন তাঁরা। বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন।
মেয়েদের আইনজীবী জানান, বাড়িতে তাঁরা বাবাকে থাকতে দিলেও, খাবার দিতে পারবেন না। নিজের অন্নসংস্থান নিজেকেই করতে হবে। আরও বলা হয়, বাইরের কাউকে বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। এমনকি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও নন।
এ সময় আদালতে বিচারপতি জানান,, ‘‘কেন এ সব অপ্রয়োজনীয় কথা বলছেন। যে বাবা সন্তানকে বড় করে তুলেছেন। সেই বাবাই এখন আদালতে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে সন্তানরা অত্যাচার করছে! এটা উচিত নয়। এমনটা করবেন না। বাবার দেখভাল করুন। দেখবেন আপনাদের ভাল হবে।’’
আদালতের নির্দেশ, তিনকড়িকে বাড়ি ফেরাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা করতে হবে তমলুক থানার পুলিশকে। এবং তিনি যে সেখানে শান্তিতে রয়েছেন, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনএ/ওজি
তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা