বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত চার কৃষক পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। রোহিঙ্গা অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহ্নতদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে। অপহ্নতদের কান্নার শব্দ মোবাইল ফোনে স্বজনদের শোনানো হচ্ছে ।সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।গত ৮ জানুয়ারী কৃষি খামার থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের মধ্যে রোহিঙ্গা ছাড়া স্থানীয় সন্ত্রাসীরাও আছে। অপহৃত আব্দুর রহমানের মোবাইল ফোন থেকে কল করে তার বাবা গুরা মিয়ার কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি অপহৃত পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি।’
এর আগে রবিবার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় ক্ষেত পাহারারত ওই চার কৃষককে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহৃতরা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম, গুরা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, রাজা মিয়ার ছেলে মুহিব উল্লাহ ও রাজা মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম।
টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা।’
গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন। একই ভাবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়।তিন দফায় শুধু হ্নীলা থেকে ১২ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নিয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। গত চার মাসে ৩১ জন গ্রামবাসীকে অপহরণ করে তারা।
বিএনএ, এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন,জিএন