29 C
আবহাওয়া
১২:২৮ অপরাহ্ণ - অক্টোবর ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা নিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তার সংবাদ সম্মেলন

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা নিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তার সংবাদ সম্মেলন


বিএনএ, চবি: অন্তর্বর্তী সরকারের একমাস পূর্তি উপলক্ষে ‘অন্তর্বর্তী সরকার ও জনপ্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্র। সম্মেলনে বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সরকারের কাছে জনমানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরেন বক্তারা।

সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্রের পরিচালক ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোর্শেদুল হক।

লিখিত বক্তব্যে ড. মো: এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, কোটা সংস্কারের মতো যৌক্তিক আন্দোলন দমন করার জন্য হাসিনা সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ লাভ করে এবং শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যান। পতনের দিনও তার পেটুয়া বাহিনী পুলিশের গুলিতে শতাধিক ছাত্র জনতা শহীদ হন। সহস্রাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যগণ পালিয়ে যান। জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং ৪৫০ টি পুলিশ স্টেশন আক্রান্ত হয়। সর্বোপরি এক ধ্বংসস্তূপের উপর ড. ইউনুসের সরকার দায়িত্ব পালন শুরু করে।

আহতদের সুচিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতার শিকার গুলিবিদ্ধ (চোখে, মুখে পায়ে) মানুষদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। জীবন ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের উন্নততর চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণ করা উচিত। শহীদ, আহত এবং নির্যাতিত ব্যক্তিদের পরিবারদের সর্বাগ্রে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রশাসন ও পুলিশের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এনায়েত উল্যা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের বাকি কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে বরখাস্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা জরুরী। তাদের দুর্নীতি তদন্ত করে আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অনতিবিলম্বে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করে এ বাহিনীকে জনবান্ধব করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। পুলিশের হারানো গৌরব বিশেষ করে তাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস নিরসনের ব্যবস্থা করা। দুর্নীতিবাজ সকল পুলিশ কর্মকর্তা এবং সিপাহিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা অত্যাবশ্যক। অনতিবিলম্বে পুলিশ বাহিনীতে সিপাহী ও কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়েরদাবী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রকারের দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বিরুদ্ধে ইউজিসি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল, কিন্তু সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত হলেও তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে কোন শাস্তি কার্যকর হয়নি। তাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতি তদন্ত করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য ‘উচ্চশিক্ষা দুর্নীতি দমন কমিশন’ গঠন করা হোক।

সম্মেলনে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক বলেন, হাসিনা সরকারের আমলের সব ধরনের গোপন চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী যে চুক্তিগুলো ফ্যাসিস্ট সরকার করেছে। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আহ্বান জানান তিনি।

বিএনএ/ সুমন, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ