বিশ্বডেস্ক: ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে দখলদার বাহিনীর হামলা, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটের কারণে গাজা উপত্যাকার ১১০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ২১ টি হাসপাতাল বলতে গেলে এখন অচল।
বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই উপত্যাকায় ব্যাপক হতাহতের কারণে এবং ইসরাইলের অবরোধে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চিকিৎসাসেবা।
শুক্রবার(৮ডিসেম্বর) আল জাজিরা জানায়, একই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ২৮৭ জন চিকিৎসা কর্মী নিহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ৫৮ টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংসের ফলে গাজায় আহতদের বহন করার মত যানবাহনের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া গাজার বড় বড় হাসপাতালগুলোতে ইসরাইলী বাহিনী অভিযান চালিয়ে বহু চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী কে আটক, অপহরণ ও হত্যা করেছে। ধ্বংস করে দিয়েছে হাসপাতালের সেবা সুবিধা।
বর্তমানে হাতেগুনা যে কয়েকটা হাসপাতাল গাজায় এখনও চালু রয়েছে, সেগুলো জাতিসংঘ, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক পরিচালনা করছে। সেখানেও নানা সংকট বিদ্যমান। আউটডোর ছাড়া রোগী ভর্তি করার সুবিধা তারা দিতে পারছে না। অথচ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ইসরাইলী হামলায় হতাহত হচ্ছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং গণহত্যা বন্ধের আহ্বান
রাব্বি এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্যরা হানুক্কার প্রথম দিন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানাতে মার্কিন শহরে সমাবেশ করেছে ৭ডিসেম্বর রাতে।
ম্যানহাটনের কলম্বাস সার্কেলে সমাবেশে গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্ল্যাকার্ড বহন করে, বিক্ষোভকারীরা।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজায় দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৬হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে সরকারীভাবে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১২০০।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন