29 C
আবহাওয়া
৮:১১ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিরসরাইয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

মিরসরাইয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

মিরসরাই

বিএনএ, (মিরসরাই) চট্টগ্রাম: মিরসরাইয়ে এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যুনিয়ে ধুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের নাম সুভাষ চৌধুরী (৬৫)।  নিহতের ছেলে সৈকত এটিকে হত্যা বলে দাবি করলেও তার স্ত্রী বিউটি রানী দাবি করেন হৃদ রোগে মৃত্যু হতে পারে। তবে হিতের সাথে তার ভাই ভাতিজাদের সাথে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিলো।

সোমবার (৮ আগষ্ট) উপজেলার ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার অনিল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সুভাষ চৌধুরী ওই গ্রামের অনিল কুমার চৌধুরীর ছেলে। ভোর ৬টায় বাড়ির উঠোনে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

সরজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও বাড়ির লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোববার রাত ১০টায় নৈশভোজ সেরে নিহত সুভাষ চৌধুরী ও তার ছেলে, ছেলের বৌ শুয়ে পড়েন। রাতে সুভাষ চৌধুরী রান্নাঘরের দরজা খুলে বাহিরের দেয়াল টপকে ঘর থেকে বের হয়ে যান।

সুভাষ চৌধুরীর ছেলে সৈকত জানান, রাতে দরজা খোলার আওয়াজ কানে আসলেও ভাবছিলেন বাবা বাথরুমের কাজে বের হচ্ছেন। তাই আর তালাশ করিনি। কিন্তু সকালে বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাকে অচেতন অবস্তায় ঘরের সামনে উপড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। পরে  তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, আমার বাবাকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। আমার চাচা অভিজিৎ ও তার দুই সন্তান মিলে আমার বাবাকে হত্যা করেছেন।

নিহতের পুত্রবধু বিউটি রানী বলেন, বাড়িতে ভাই ভাতিজাদের সাথে বিবাধ চলছিল তার। এই নিয়ে মানষিক ভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে উঠেন সুভাষ চন্দ্র। ডাক্তার দেখালে ডাক্তাররা মাদক সেবন ও সিগারেট পান করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে মাত্রাতিরিক্ত সিগারেট পান করেন। তার শয়ন কক্ষের সাথে বাথরুম থাকলেও রাতের কোন এক ফাঁকে কি কারণে ঘর থেকে বিকল্প পথে বের হয়েছেন তা বুঝতে পারছি না। তবে সাম্প্রতিক তিনি মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান এই পুত্রবধু।

নিহতের বাড়ির প্রত্যক্ষদর্শী বয়োজৈষ্ঠ মিন্টু জানান, সকাল ৬টার দিকে বাড়ির এক পুত্রবধু সুভাষ চৌধুরীকে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে দেখে শোর চিৎকার করে। এতে আমরা এগিয়ে এসে তাকে সিএনজি করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে শুনতে পারি তিনি মারা গেছেন। তবে হাসপাতালে পাঠানোর সময় তার শরীরে কোনপ্রকার আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়েনি।

অন্যদিকে অভিজিৎ চৌধুরী ও তার সন্তানরা ঘটনার পর থেকে বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তারা জানান, আমাদের সাথে সামান্য বাক বিতন্ডা হয়েছে ধাক্কা ধাক্কিও হয়েছে রোববার বিকালে। তবে কোন প্রকার মারামারি হয়নি। সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠে শুনতে পারি যে তিনি ঘরের সামনে অচেতন হয়ে আাছেন। এখন শুনছি তিনি হাসপাতালে মারা গেছেন। এর বাইরে আমারা আর কিছুই জানি না।

মিরসরাই সার্কেল এএসপি লাবিব আব্দুল্লাহ ও মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কবির হসেন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন। এসএসপি লাবিবল আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের কোন তথ্য প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, এসপি স্যারের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোন বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়।

ওসি কবির হোসেন বলেন, ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী এটাকে হৃদরোগ জনিত মৃত্যু বলেন ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোট হাতে না আসা পর্যন্ত শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

নিহত সুভাষ চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রচার করা হলেও মিরসরাই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির হোসেন তা নাকচ করে বলেন এই নামে কোন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নেই।

বিএনএ/আশরাফ, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ