31 C
আবহাওয়া
১:৪৪ অপরাহ্ণ - মে ৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সাদকাতুল ফিতর কী, কেন দিতে হয়?

সাদকাতুল ফিতর কী, কেন দিতে হয়?

সাদকাতুল ফিতর কী, কেন দিতে হয়

বিএনএ, ইসলামিক ডেস্ক: ইসলামি অনুশাসনের এক অনন্য নির্দশন ফিতরা। সাদকাতুল ফিতর দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে বিধিবদ্ধ হয়। এটি অসহায় গরিব দুঃখীর ন্যায্য পাওনা। রমজান, ফিতরা ও ঈদ এক সূত্রে গাঁথা। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর যেহেতু তা ভঙ্গ করা হয় এবং এ উপলক্ষে শরিয়ত কর্তৃক আরোপিত এই দান অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়, তাই একে সাদাকাতুল ফিতর নামে আখ্যায়িত করা হয়।

‘ফিতর’ মানে হলো ‘রোজা ছাড়া’। অর্থাৎ যা রমজানের রোজা ছাড়ার কারণে আদায় করতে হয়। ফিতরা মানে হলো প্রকৃতি। যেহেতু ফিতরার মাধ্যমে মানুষ তার পালনীয় রোজার যাবতীয় খতগুলো; ভুলগুলো থেকে আত্মশুদ্ধি ও আত্মার আমলকে নির্মল করার জন্য অসহায়দের মাঝে দেয়া আবশ্যক, তাই এর নাম ফিতরা।

সাদাকাতুল ফিতর আদায়ের উপকারিতা

সাদাকাতুল ফিতর আদায়ের তাৎপর্য অত্যাধিক। এতে ধনী ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়। একজন মুসলিম ঈদে আনন্দ করবে আর তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকবে, কষ্ট পাবে এরূপ ইসলামে কাম্য নয়। বরং ধনী গরিব নির্বিশেষে সকলের মাঝে সুসম্পর্ক ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামের আদর্শ।

দীর্ঘ একমাস সাওম পালনের পর, অসহায় দুস্থ মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার সুযোগ তৈরি হয় সাদাকাতুল ফিতরের মাধ্যমে। অপরদিকে সাদাকাতুল ফিতর-এর মাধ্যমে একমাস সাওম পালনের সময় ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোর কাফফারা আদায় হয়ে যায়। এতে রমজানের সাওমের পবিত্রতা রক্ষা পায়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। এছাড়া ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজারে মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

রসুল সা. ঈদগাহে যাবার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ প্রদান করে বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে সদকা আদায় করল, তাই গ্রহণযোগ্য সদকাতুল ফিতর। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নামাজের পর তা আদায় করল, তা সাধারণ দান-অনুদানের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হলো। (সুনানে আবি দাউদ ১৬০৯ )

বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ