বিএনএ,চট্টগ্রাম: শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, মন্ত্রী পরিষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে বন্ধ রাখা হয়। যারাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দশেনা দেওয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই বিষয়টি মনিটরিং করা হবে।
এতিমখানার ছাত্র-ছাত্রীদের এইসব বিষয়ে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান নওফেল। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে মাঠে নামানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিভিন্ন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী।
কওমী মাদ্রাসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি জাতীয়ভাবে সম্মান দিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ এ মাস্টার্সের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যদি ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম হেফাজত চালিয়ে যায়, অপরাধমূলক কাজ করতে থাকে, তাহলে ডিগ্রির যে স্বীকৃতি সে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, যথেষ্ট পরিমাণ টিকা আছে, সেগুলো সবাই পাবেন। গত বছর আতঙ্ক ও শঙ্কার কারণে অনেকে সেবা দেননি। এবার সেই অবস্থা নেই। এ বছর রোগী বাড়লে ও সমস্যা হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আখতার, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া সহ প্রমুখ।
এরআগে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০টি ও উপজেলার ১৫টি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান জানান, আজ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন হাসপাতালসহ নগরীর ১০টি কেন্দ্র, বিআইটিআইডি ও উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, নগরের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৩০ ডোজ টিকা মজুত আছে। এছাড়া শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ, গত ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে করোনার টিকা প্রথম ডোজ প্রদানের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৫ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ২ লাখ ৪২ হাজার ২০৬ জন এবং উপজেলায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৪০৯ জন।
বিএনএনিউজ/মনির