।। শামীমা চৌধুরী শাম্মী ।।
এইভাবে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতাকে দমনে হেলিকপ্টার থেকে সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হাসিনার এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মেদ তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে অডিও ক্লিপটি শেয়ার করেন। এতে লেখা ছিল, ‘১৯ জুলাই গোয়েন্দা সংস্থার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে আন্দোলন দমাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার ও হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।
এ ঘটনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতি ব্যাপক ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।
প্রসঙ্গত, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস তাদের তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলেছে যে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠার আগেই ক্ষমতাচ্যুত সরকার সামরিক বাহিনীগুলোকে মোতায়েন করতে শুরু করেছিল। হেলিকপ্টার থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছিল। পুলিশ ও র্যাব ভূমিতে অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করেছিল। বিশেষ করে সামরিক রাইফেল ও প্রাণঘাতী গুলিভর্তি শটগান থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়ছিল।
OHCHR বলেছে, জনতার মধ্যে কিছু লোক সরকারি ভবন, পরিবহণ অবকাঠামো ও পুলিশকে লক্ষ্য করে বেআইনি সহিংসতা শুরু করে। যার প্রতিক্রিয়ায় সরকার নির্বিচার ও অসঙ্গতভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করেছে।
এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ঢাকার নিম্ন আদালতে প্রায় ৫৭৬টি মামলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাহিরে আরও কয়েকশ’ মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে তিন শতাধিক অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। এর মধ্যে চারটি মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনএ নিউজ টুয়েন্টিফোর/ বিএম