29 C
আবহাওয়া
৪:৫২ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ৩ নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল হেফাজত নেতা নোমানের

৩ নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল হেফাজত নেতা নোমানের

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ : হেফাজত নেতা ফয়েজীর বিরুদ্ধে মামলা

বিএনএ,চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জীর সঙ্গে ৩ নারীর অনৈতিক সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ মে) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এম এম রশিদুল হক।

পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, নোমান ফয়েজীকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে আমরা একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করেছি। ওই মোবাইল সেটের সূত্র ধরে আমরা জানতে পারি, ৩ নারীর সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি এসব বিষয় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এস এম রশিদুল হক বলেন, জাকারিয়ার মোবাইলের চ্যাটিং দেখে যেসব নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এগুলো প্রকাশ করছি না। কারও কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক আর কারও কারও সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল।

জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হাটহাজারী থানায় হামলাসহ নাশকতার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ফয়েজি। তিনি এসব ঘটনার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তা বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি তাণ্ডবে অর্থের জোগান দিয়েছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন। এছাড়া আমরা তার মোবাইল ফোন চেক করে তিনজন নারীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছি। মোবাইলে তারা অশ্লীল বার্তা আদানপ্রদান করতেন। সামাজিক সমস্যা বিবেচনা করে আমরা ওই নারীদের পরিচয় প্রকাশ করছি না।

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী সহিংসতার সঙ্গে জড়িত কি না এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলবে, প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এর আগে গতকাল বুধবার (৫ মে) কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে জাকারিয়া নোমানকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম জেলা ডিবি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে পুলিশকে অনুমতি দিয়েছে আদালত।

জাকারিয়া নোমান ফয়জীর বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেখল গ্রামে। তার বাবা নোমান ফয়জী হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। গত ২২ মার্চ তিনি মারা যান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন গত ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় ভাংচুর, স্থানীয় ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগসহ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত হয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে হেফাজতে ইসলামের চার কর্মী নিহত হন। এর জেরে তিনদিন ধরে হাটহাজারী থানার অদূরে হেফাজতের মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে ইটের দেওয়াল তুলে অবরোধ তৈরি করে রাখে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। একই ঘটনার জেরে চট্টগ্রামের পটিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় প্রথমে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় কারো নাম উল্লেখ না করে কয়েক হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এরপর গত ২২ এপ্রিল আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে দু’টিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীকে। অপর মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলালসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ