25 C
আবহাওয়া
১২:২১ পূর্বাহ্ণ - মে ১০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এস.আলমের চিনিতে শরবতের নদী কর্ণফুলী!

এস.আলমের চিনিতে শরবতের নদী কর্ণফুলী!


বিএনএ, ডেস্ক :চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরের এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ৪ দিনেও নিভেনি কারখানার গুদামে লাগা আগুন। এতে অন্তত: এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের আগুন নিভানোর পানির সাথে মিশ্রিত চিনি কর্ণফুলী নদীতে এসে পড়েছে। এলাকার লোকজনকে বলতে শুনা যাচ্ছে, কর্ণফুলী এখন শরবতের নদীতে পরিণত হয়েছে!

YouTube player

এমনিতে চট্টগ্রাম মহানগর ও শিল্পকারখানার দুষিত বর্জ্যে আগে থেকে কর্ণফুলী নদী দুষণের শিকার হয়েছে। এবার এস আলম সুগার মিলের চিনির বর্জ্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত ৪ দিন ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে যে পানি বর্ষণ করা হয়েছে তা নদীতে গড়িয়ে পড়ছে। এসব দূষিত পানি নদীতে গড়িয়ে পড়ার পর নদীর পানি কালো বর্ণ ধারণ করেছে।

দূষণ কবলিত এ নদীতে এমনিতে বড় মাছ মেলে না। সোমবার আগুন লাগার পর পোড়া অপরিশোধিত চিনি ফেলা হয় নদীতে। এরপর থেকে নদীর দুই তীর ঘেষে মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়। নদীর দুই তীরে মাছ ভেসে উঠতে দেখে কয়েকশ মানুষ মাছ ধরতে নেমে পড়ে।

তাদের টানা জালে চিংড়ি, গুলশা, টেংরা, বাইন মাছের পাশাপাশি কাঁকড়া ও বিভিন্ন জলজ প্রাণী উঠে আসে। নদীর তীরের কাছে এসব মাছ ভাসতে এবং তীরের কাদায় আটকে থাকতে দেখা যায়। অনেকে খালি হাতেও মাছ ধরেন।
নানা রকম দূষণের কারণে গত এক দশক ধরে কর্ণফুলীতে বড় আকারের মাছ আর তেমন নেই। ছোট যে কয়েকটি প্রজাতির মাছ প্রতিকূল এই পরিবেশে টিকে আছে, সেগুলোও চিনি পোড়া রাসায়নিক দূষণে নিঃশেষ হতে বসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোড়া চিনির বর্জ্যের কারণে নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে গেছে। সে কারণে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন না পেয়ে মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণী ভেসে উঠছে। এতে কর্ণফুলী নদীর পানি এবং জীব-বৈচিত্র্যের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরীক্ষাগারের চিফ কেমিস্ট কামরুল আলম জানিয়েছেন, নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে গেছে। পানির নমুনায় দেখা গেছে “মানমাত্রা যেখানে ৫ থাকার কথা সেটা কমে ১ এর নিচে নেমে এসেছে। চিনি পুড়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড হয়েছে, সেসব পোড়া অংশ পানিতে এসে পড়ায় পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে।”

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, এখানে যেহেতু নির্দিষ্ট একটা পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে, এছাড়াও কারখানার সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাই এসব মিশ্রিত পানি গুলো নদীতে পড়ে নদী দূষণ হতে পারে এটা নিয়ে সন্দেহ নাই।

বিএনএ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী, ওজি/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ