বিদেশি জাহাজগুলো বর্হিনোঙ্গরে এখন কোন রকম অপেক্ষায় অবস্থান করা ছাড়াই সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বার্থ নিতে পারছে। চট্টগ্রাম বন্দরে কোন জাহাজ জট নেই। এতে বিদেশি জাহাজ কোম্পানীগুলোর কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের অধিক আস্থা ও নির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার(৬সেপ্টেম্বর) সরকারি সংবাদ সংস্থার সাথে এক সাক্ষাতকারে উপরোক্ত তথ্য প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের(চবক) চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে এখন কোন কন্টেইনার জাহাজকে বার্থিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে না হওয়ায় দেশে আমদানী ও রপ্তানী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এতে দেশি বিদেশি জাহাজ মালিকদের বিপুল অর্থ অপচয় বন্ধ হয়েছে। এক সময় ৮থেকে ১০দিন ক্ষেত্র বিশেষে ১২-১৫দিন পর্যন্ত বার্থিং পেতে অপেক্ষা করতে হত। এখন সেটা শূণ্যতে নেমে এসেছে। অনেকদিন থেকে এই অবস্থা চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান, (এন), এনপিপি, বিসিজিএমএস, এনডিসি, পিএসসি বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে কেবল বন্দরে নতুন গেন্ট্রি ক্রেন ও কন্টেইনার ব্যবস্থাপনা যন্ত্রপাতি স্থাপন, ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, অটোমেশন এবং কন্টেইনার তোলা নামার দ্রুতগতির কারণে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান গত ৩১ জানুয়ারি ২০২১ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
ইতোপূর্বে তিনি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ে ব্লু ইকোনমি সেলের সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উপ-মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের দুই শীর্ষ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে যথাক্রমে এনপিপি এবং বিসিজিএমএস শান্তিকালীন মেডেল প্রদান করা হয়।
জাতিসংঘ মিশনের অধীনে তিনি সিয়েরা লিওনে সামরিক পর্যবেক্ষক দলের টিম লিডার এবং হাইতিতে জাতিসংঘ মিশনে ব্যানকন-২ এ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছেন।
বিএনএনিউজ২৪ডটকম,জিএন
Total Viewed and Shared : 15