বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ৪ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণকারী আসামী মোঃ ফরিদ শেখ (৫২)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।রোববার (৫ জুন) রাত পোনে ৩টায় বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানাধীন গনী হেকমত শেখের বাড়ী গ্রাম হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামী চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন সোবহানবাগ গ্রামের মৃত হেকমত শেখের ছেলে মোঃ ফরিদ শেখ।
র্যাব-৭ জানায়, ভিকটিমের মা মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস তার ৪ বছরের একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মায়ের সাথে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার সোবহানবাগ এলাকায় বসবাস করত। গত ১২ মে বিকেল ৪টার দিকে তার মা সীতাকুন্ড থানাধীন বসরত নগরে বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করতে যাওয়ার সময় তার মেয়ের হাতে ২০ টাকা দেন এবং বাসার পাশের দোকান থেকে কিছু কিনে খাওয়ার জন্য বলেন। ভিকটিমের মা দর্জির কাজে ব্যস্ত থাকায় তার ৪ বছরের শিশু কন্যা নিজেই পাশ্ববর্তী শিবলু এর দোকান থেকে আইসক্রিম কিনতে যায়।
পরবর্তীতে বিকেল ৫টার দিকে শিশু কন্যা তার মাকে বলে আম্মু আমার প্রস্রাবের রাস্তা ব্যাথা করছে তখন তার মা কি হয়েছে জানতে চাইলে ৪ বছরের শিশু কন্যা হাউমাউ করে কেঁদে বলে শিবলু এর দোকান থেকে আইসক্রীম কিনে বাসায় ফেরার পথে মোঃ ফরিদ শেখ তাকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘরে ঢেকে নিয়ে যায় এবং পরনের হাফ প্যান্ট খুলে ধর্ষণ করে। তখন ভিকটিমের মা মেয়ের প্যান্ট খুলে দেখতে চাইলে অবুঝ শিশু কন্যা কান্না করতে করতে জানায় প্রস্রাবের রাস্তায় প্রচুর ব্যাথা করছে। পরবর্তীতে অবুঝ শিশু কন্যা কান্না করতে করতে আরো জানায় পূর্বেও ধর্ষক তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার বসত ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৯ তারিখঃ-১৭/০৫/২০২২ খ্রিঃ ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯(১)২০০০ (সংশোধীত ২০০৩)। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা তার মেয়ের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে র্যাব-০৭, চট্টগ্রাম বরাবর বিষয়টি অবগত করে।
উক্ত ধর্ষনকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, ধর্ষণকারী ফরিদ শেখ বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানাধীন থানা রোড এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল রোববার রাত পোনে ৩টায় বাগেরহাট হতে তাকে গ্রেফতার করে।
বিএনএ/ ওজি