27 C
আবহাওয়া
৯:৩২ পূর্বাহ্ণ - মে ১২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পানির নিচে বন্দর নগরী

পানির নিচে বন্দর নগরী

পানির নিচে বন্দর নগরী

বিএনএ, চট্টগ্রাম : পানির নিচে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও কোমর সমান আবার কোথাও বুক সমান পানি হয়েছে। রোববার ( ৫জুন) সকাল থেকে বৃষ্টি, জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলে এখানকার প্রায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নগরীর নালা-নর্দমা অপরিস্কার ও ১২টি খালের মুখে উন্নয়ন প্রকল্পের বাঁধ রয়েছে।

পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে প্রতিটি সড়ক খালে পরিণত হয়েছে। এতে মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানির তোড়ে রাস্তায় অনেক গাড়ি বিকল হয়ে আছে। যার ফলে বেশ ভোগান্তিতে পড়ে অফিস গামী মানুষ।

বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়েছে পানি। বিপাকে পড়েছে পরিবারের নারী ও শিশুরা। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়ে নিম্ন আয়ের লোকজন। নগরীর বসতি ও পাহাড়ের কিনারে বসবাসকারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায় ঢুকেছে হাঁটুসমান পানি। এতে রোগী ও অভিভাবকরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। হাসপাতালের নিচতলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের আশপাশ এলাকা ডুবে গেছে। সেখানে কোমরসমান পানি মাড়িয়ে হাসপাতালে আসছে লোকজন। হাসপাতালের পরিচালক(এডমিন) ডা. নুরুল হক জানিয়েছেন, প্রতিবছর বৃষ্টির দিনে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়। যা থেকে উত্তরণের কোন উপায় নেই। এটা স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। করার কিছু নেই।

আগ্রাবাদ রঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিবছর তার বাসা পানিতে তলিয়ে যায়। গত ২০ বছর ধরে তিনি এমন দুর্ভোগের শিকার। ওই এলাকায় এভাবে আরও অনেকের বাসা-বাড়ি বৃষ্টির পানিতে সয়লাব। এসব দেখার যেন কেউ নেই।

নগরীর বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, হালিশহর, বড়পুল, ছোটপুল, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, ডিসি রোড, মিয়াখাননগর, দেওয়ান বাজার, কোরবানীগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ বৃষ্টির পানিতে  প্লাবিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া  অফিস জানিয়েছে, চট্টগ্রামে বেলা ১২ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাক মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে তা থেমে থেমে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হবে।

এ মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করার অনুকূল পরিবেশ থাকতে পারে। চট্টগ্রামে বিভাগে ৭৮৯ মিলিমিটার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হিসেবে ধরা হয়েছে। এই মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এছাড়া উত্তর মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন মাঝারি অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও অন্যান্য জায়গায় তিন থেকে চারদিন হালকা অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিএনএনিউজ২৪/আমিন, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ