24 C
আবহাওয়া
৫:১৬ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মেশিনে কার্ড স্ক্যান করলেই বের হচ্ছে স্যানিটারি প্যাড

মেশিনে কার্ড স্ক্যান করলেই বের হচ্ছে স্যানিটারি প্যাড

মেশিনে কার্ড স্ক্যান করলেই বের হচ্ছে স্যানিটারি প্যাড

বিএনএ, ময়মনসিংহ : বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে মাসের নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব বা মাসিক হয়। স্বাভাবিক এই প্রক্রিয়াটিকে সমাজে অনেক ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা লজ্জার বিষয় হিসেবে ভাবা হয়। ফলে এই নিয়ে শুরু হয় রাখঢাক। সচেতনতার অভাবে এই সময়ে পরিষ্কা পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দেওয়া হয় না। এর ফলে জরায়ুমুখ ও প্রজনন অঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়। যার দীর্ঘমেয়াদি কুফল বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। তাই এ বিষয়ে লজ্জা নয়, কথা বলতে হবে। সচেতন হতে হবে।

বয়ঃসন্ধিকালে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ময়মনসিংহ নগরীর সরকারী বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীরা অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন। বিদায় অনুষ্ঠানে নিজেদের চাঁদার টাকায় স্থাপন করা হয়েছে হাইজিন সেনিটারি ভেন্ডিং মেশিন। যে মেশিনে কার্ড স্ক্যান করলেই বের হয়ে সুরক্ষা প্যাড।

ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্রে সরকারী বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ-বিদ্যালয়। চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে পাঠদান চলে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২ হাজার ১১৯ জন ছাত্রী রয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ের দিবা-শাখার ১৩৬ জন শিক্ষার্থী ২০২২ সালে এএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। বিদায় বেলায় চমক দিয়েছেন ওই ১৩৬ জন শিক্ষার্থী।

সুত্র জানায়, ২৫ হাজার টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত মেশিনটি বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে স্থাপন করা হয়েছে। পিরিয়ড কালীন সময়টি গোপন রাখার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এই আধুনিক মেশিন স্থাপনের কারণে হাতের কাছে সহজেই মিলবে স্যানিটারি প্যাড। এতে লজ্জায় পড়তে হবেনা কোন ছাত্রীকে। মেশিনটি নির্দিষ্ট একটি কার্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। শ্রেণি শিক্ষক, ক্লাস ক্যাপ্টেন ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে রয়েছে কার্ড। সেই কার্ড নিয়ে মেশিনের নির্দিষ্ট স্থানে ধরলেই বেরিয়ে আসবে স্যানিটারি প্যাড। মেশিন থেকে স্যানিটারি প্যাড শেষ হয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই তা রিফিল দেবেন।

বিদায়ী শিক্ষার্থী নাবিহা জান্নাত প্রিয়তি বলেন, ঢাকায় অনেক পাবলিক টয়লেটে এমন ব্যবস্থাটি রয়েছে। এমন বিষয়টি জানার পর অনলাইনে মেশিন সম্পর্কে ধারণা নিয়ে মেশিনটি কেনার চিন্তাভাবনা করি। পরে বান্ধবীদের সঙ্গে আলোচনা করে চাঁদা তুলে বিদায় অনুষ্ঠানে দেয়ার চিন্তা করি।

শিক্ষার্থী সায়ন্তী মজুমদার বলেন, অনেকের ছোট বয়সে পিরিয়ড হয়। বিগত সময়ে আমরা সমস্যাটি ফেস করেছি। ছোটদের যেনো সে সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য তাদের এই উদ্যোগ।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। যে যুগে শিশুরা টাকা নষ্ট করে তারা সেটি না করে ছোট বোনদের কথা চিন্তা করে মেশিনটি দিয়েছে। মেশিনটিতে একবারে ২০টির মত সুরক্ষা প্যাড রাখা হয়। শেষ হলে আবার বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রিফিল করে দেয়া হবে।

বিএনএনিউজ/হামিমুর রহমান/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ