28 C
আবহাওয়া
৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ - মে ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ, রাস্তা নয়–তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ, রাস্তা নয়–তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

সরকারের নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভাববেন না-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা:  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, রাস্তা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি সবসময় ব্যস্ত রাস্তার কথা বলছে। এটি দূরভিসন্ধিমূলক।’ সেই সাথে বিএনপির গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তবে যারা আগুনসন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিয়েছিল, হুকুম দিয়েছিল তাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, মানুষ মনে করছে যে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা দরকার।’

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশস্থল নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে, মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে জনসভা করা কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবসময় বড় জনসভা যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে, সেটি তাদের পছন্দ না। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ কারণ সেখানে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে এবং ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া যাবে।

ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জনসভায় ভোগান্তি হলেই তো পত্রিকা লেখে যে, জনসভায় মানুষ হয়েছে তবে ভোগান্তি হয়েছে। জনসভা অবশ্যই ময়দানে হয়। গতকাল যেমন আমরা চট্টগ্রামে জনসভা করেছি লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুরোটা ছিল মানুষে সয়লাব। বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠ বা টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ কিংবা বুড়িগঙ্গার তীরেও মাঠ আছে, সেখানেও হতে পারে।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারের অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পয়লা ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ইংরেজি নববর্ষ -এগুলো নিয়ে প্রতি বছরই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এগুলো নতুন কিছু নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও নয়। সারা দেশে রাজনীতির নামে যারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিল, তারা তো বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের কাউকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, সেটি আইনগত বিষয়।’

জাপানের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ি সাক্ষাৎ
জাপানের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ি সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ি সাক্ষাৎ

এর আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের সাথে বিদায়ি সাক্ষাতে মিলিত হন। সাক্ষাৎ শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে এবং স্বাধীনতা অর্জনের পর আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের ভূমিকার জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা এ বছর জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিত্রতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছি। বাংলাদেশে জাপানের অনেকগুলো প্রজেক্ট চলমান আছে, আগামীকাল নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজারে জাপানিজ ইকোনমিক জোন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এবং মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরেও জাপান ইতিমধ্যেই বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে -সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। বিদায়ি রাষ্ট্রদূত বাংলায় গান গাইতে পারেন। তিনি সেই চর্চা চালু রাখবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আরো আলোচনা করেছি যে, বাংলাদেশে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা বিরাজ করুক এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত এবং বাংলাদেশে ‘পলিটিকস অভ্‌ ডিনাইয়াল’ ‘পলিটিকস অভ্‌ কনফ্রন্টেশন’ বন্ধ হওয়া দরকার। অর্থাৎ সবকিছুতে না বলার সংস্কৃতি এবং বিএনপিসহ তাদের সাংঘর্ষিক রাজনীতির বিষয়টাও আমি তার সামনে তুলে ধরেছি। আলাপচারিতায় আগামী নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করুক এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।”

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার কাজে আমি সবসময় সহযোগিতা পেয়েছি। এ বছর জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি। সে উপলক্ষ্যে আমরা ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফর নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছি, যা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উদ্বোধন করেছিলেন। আমরা দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করেছি।’

Loading


শিরোনাম বিএনএ