বিএনএ,চট্টগ্রাম: গত এক বছরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ল্যাবে ১ লাখ ৩০ হাজার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানেও করোনা শনাক্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতের জীবাণুঘটিত যে কোনো দুর্যোগকালে জাতীয় দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা অর্জনের জন্য এ ল্যাবের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শনিবার (৫ জুন) দুপুরে প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি ও লক্ষাধিক টেস্ট সম্পন্ন উপলক্ষে চমেক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চমেক অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সদ্য বিদায়ী বিভাগীয় প্রধান ও কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবের প্রাক্তন আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. এহসানুল হক।
অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, গত বছরের ৫ মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবটি চালু হয়। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে চমেক। দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই চমেকের এই ল্যাব গণমানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, করোনাকালে ফ্রন্ট লাইনার ফাইটার হিসেবে এ বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদান ইতিহাস হয়ে থাকবে। আরটি-পিসিআর ল্যাবের কর্মকর্তা ডা. হাসান মুরাদ করোনায় আক্তান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছর ২১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ডা. হাসান মুরাদসহ সকল শহীদ করোনা যোদ্ধা চিকিৎসকের মাগফেরাত কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবের বর্তমান আহ্বায়ক ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. আবুল কালাম, সহকারী অধ্যাপক ও কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবের সদস্য-সচিব ডা. মো.আরিফুর রহমান, রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুভাষ মজুমদার, এ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত, ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মাসুদ রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিএনএনিউজ/মনির
Total Viewed and Shared : 146