বিএনএ, ঝিনাইদহঃঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বারোমাইল নামক স্থানে নাছিমা খাতুন ও তার স্বামী এটিএম শফিকুজ্জামান টুলু নামে দুই শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। শিক্ষক নাছিমার গায়ের ওড়না ছিড়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করা হয় এবং তার স্বামী শফিকুজ্জামান টুলুকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ পার্শ্ববর্তী জমির মালিক মোহন খা ও আপন খাকে আটক করেছে। সাধুহাটী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার দিয়েছেন।
থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে শুক্রবার সকালে সাধুহাটী বারোমাইল এলাকার নিজের জমিতে কাজ করতে গেলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী পোতাহাটী গ্রামের জয়নাল খাঁর ছেলে মোহন ও আপন খা’র নেতৃত্বে বদর খা ও জয়নাল দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শিক্ষক দম্পত্তির ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় তারা দু’জনাই আহত হন। খবর পেয়ে ডাকবাংংলা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল গনি শিক্ষক দম্পত্তি নাছিমা ও তার স্বামী শফিকুজ্জামান টুলুকে উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মোহন খা ও আপন খাঁকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ৩১ নং সাধুহাটী মৌজার ৬৩২৪ দাগে এই শিক্ষক দম্পত্তি ৯ শতক জমি ক্রয় করেন। জমিটি ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশে হওয়ায় পোতাহাটী গ্রামের জয়নাল ও বদর খার শকুনি দৃষ্টি পড়ে। তারা এই জমি দখলের জন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।
শিক্ষক নাছিমা আইনী সমাধানের জন্য ঝিনাইদহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন, যার পিটিশন নং ৫২৭/২১। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সালমা সেলিম কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে শিক্ষক দম্পত্তির পক্ষে রায় দেন এবং জমিতে কাজ করার দিদের্শনা জারী করেন। আদালতের নির্দেশে মামলা চলাকালীন সময়ে জমির দখল স্বত্ত্ব ও ম্যাপ তৈরী করেন ঝিনাইদহ এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার নজরুল ইসলাম।
আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই মখলেছুর রহমান বিষয়টি সমাধানের জন্য সদর থানায় উভয় পক্ষকে ডেকে প্রতি জয়নাল ও বদর খার সন্তানদের জমির উপর না যেতে নির্দেশ দেয়। অথচ বিজ্ঞ আদালত ও পুলিশের নির্দেশনা পেয়ে শিক্ষক দম্পত্তি শুক্রবার সকালে নিজ জমিতে কাজ করতে গেলে হামলার শিকার হন। এদিকে জমির হাল রেকর্ড, দখল, দলিল ও আরএস খতিয়ান সন্দেহাতীত ভাবে শিক্ষক দম্পত্তির পক্ষে থাকলেও পোতাহাটী গ্রামের জয়নাল ও বদর খাঁ জোরপুর্বক জমিটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক নাছিমা বেগম।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোঃ সোহেল রানা জানান, এ বিষয়ে শিক্ষক নাছিমা খাতুন সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান।
বিএনএ/আতিক রহমান,ওজি