30 C
আবহাওয়া
১০:২৬ পূর্বাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পাকিস্তানে ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

পাকিস্তানে ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

বিএনএ ডেস্ক: সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬৭ রানে হারিয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। রোববার (২ অক্টোবর) রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ডেভিড ম্যালান ও হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত ইনিংসে ৩ উইকেটে ২০৯ রান করে ইংল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান থামে ১৪২ রানে।

১৭ বছর পর পাকিস্তানে সিরিজ খেললো ইংল্যান্ড। ঐতিহাসিক এ সিরিজে হাড্ডাহাডি লড়াই করেছে দুই দল। শেষ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকলেও চলতি সিরিজে দলের সেরা বোলার হারিস রউফ ও সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়েই মাঠে নামে পাকিস্তান।

গত ম্যাচ যেখানে শেষ করেছিল ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু করে ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই চড়াও হন ফিল সল্ট ও অ্যালেক্স হেলস। মোহাম্মদ নওয়াজের ওভার থেকে আসে ১২ রান। তবে দুজনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। পঞ্চম ওভার দলীয় ৩৯ রানে হেলস যখন ফেরেন ততক্ষণে ইংল্যান্ড ভালো শুরু পেয়ে গেছে। মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ১৩ বলে ১৮ রান করেন হেলস। গত ম্যাচে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকা সল্ট ২০ রান করে ফেরেন রান আউটের ফাঁদে পড়ে।

তিন নম্বরে নামা ডেভিড ম্যালানই মূলত পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। শুরুতে বেন ডাকেটকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ বলে ৬২ রানের জুটি। ডাকেট ৩০ রানে রান আউট হয়ে ফিরলে চতুর্থ উইকেটে ম্যালান-ব্রুক গড়েন ৬১ বলে ১০৮ রানের জুটি। মূলত শেষ ১০ ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যানের ঝড় ও পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিং বাবর-রিজওয়ানদের জন্য ম্যাচটা কঠিন করেছে। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ম্যালান অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। হ্যারি ব্রুক ২৯ বলে করেন অপরাজিত ৪৬ রান।

মঈন আলী ও বাবর আজম
মঈন আলী ও বাবর আজম

এ দিন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা চড়াও হয়েছিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও স্পিনার শাদাব খানের ওপর। ওয়াসিম ৪ ওভারে রান দেন ৬১। অন্যদিকে শাদাব খান ৩ ওভার ৩৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।

২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফেরেন ৮ বলের মধ্যে। গত ম্যাচে বড় ইনিংস খেলা বাবর ক্রিস ওকসের বলে শর্ট কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রথম ওভারেই। এক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়া রিজওয়ানও এদিন ফেরেন শুরুতেই, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রিস টপলির শিকার হয়ে।

বাবর-রিজওয়ান দ্রুত আউট হওয়ায় ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় পাকিস্তান। খুশদিল শাহ ও শান মাসুদ পাকিস্তানকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন। তবে তাদের ৪৩ বলে ৫৩ রানের জুটি ২১০ রানের লক্ষ্যে যথেষ্ট ছিল না। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন আসিফ আলীও। এই সিরিজে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান মাসুদ সিরিজে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিটা পেয়েছেন, কিন্তু তাতে পাকিস্তানের হার আটকায়নি।

প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন ডেভিড মিলান আর প্লেয়ার অব দ্যা সিরিজ হ্যারি ব্রুক।

ইংল্যান্ড-পাকিস্তান টি টোয়েন্টি সিরিজ

২০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্রথম টি টোয়েন্টিতে ৪ বল হাতে রেখেই পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ১৯.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬০ রান তোলে ইংল্যান্ড।

২২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) করাচিতে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের দেয়া ১৯৯ রান ১০ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।

২৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার ) তৃতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬৩ রানে হারায় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২১ রানে তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান করে পাকিস্তান।

২৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) চতুর্থ টি টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৩ রানে হারায় পাকিস্তান। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ১৯.২ ওভারে ১৬৯ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।

২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৬ রান হারায় পাকিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৯ ওভারে ১৪৫ রান করে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৯ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।

৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৩৩ বল হাতে রেখেই পাকিস্তানের দেয়া টার্গেট টপকে যায় ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ড-পাকিস্তান টি টোয়েন্টি সিরিজ

প্রথম টি টোয়েন্টি: ২০ সেপ্টেম্বর, করাচি (জয়: ইংল্যান্ড)

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ২২ সেপ্টেম্বর, করাচি (জয়: পাকিস্তান)

তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: ২৩ সেপ্টেম্বর, করাচি (জয়: ইংল্যান্ড)

চতুর্থ টি-টোয়েন্টি: ২৫ সেপ্টেম্বর, করাচি (জয়: পাকিস্তান)

পঞ্চম টি-টোয়েন্টি: ২৮ সেপ্টেম্বর, লাহোর (জয়: পাকিস্তান)

ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি: ৩০ সেপ্টেম্বর, লাহোর (জয়: ইংল্যান্ড)

সপ্তম টি-টোয়েন্টি: ২ অক্টোবর, লাহোর (জয়: ইংল্যান্ড)

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ