37 C
আবহাওয়া
৭:২৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জুমার দিন সূরা কাহফ কেন পড়বেন?

জুমার দিন সূরা কাহফ কেন পড়বেন?

জুমার দিন সূরা কাহফ কেন পড়বেন

বিএনএ, ডেস্ক: পবিত্র কোরআনের ১৮ নং সূরা হল সূরা কাহফ। মক্কায় অবতীর্ণ এই সূরায় ১১০টি আয়াত রয়েছে। সূরা কাহফে বর্ণিত তিনটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রথম পর্যায়ে সাত যুবকের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে; যারা ঈমান রক্ষার জন্য নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে দূরবর্তী কোনো পাহাড়ের গুহায় গিয়ে আত্মগোপন করে এবং সেখানে ৩০৯ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে দুনিয়ার ক্ষমতাবান বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তিনি সারাবিশ্ব শাসন করেছেন এবং পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন।

আল্লাহর রহমত বর্ষণ: হাদিসে সূরা কাহফের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। তা তিলাওয়াত করলে মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত অবতীর্ণ হয়। বারা বিন আজিব (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি (নামাজে) সূরা কাহফ তিলাওয়াত করছিল। তখন বাড়ির একটি চতুষ্পদ জন্তু লাফাতে শুরু করে। অতঃপর সে সালাম বলল।

তখন কুয়াশা বা একখণ্ড মেঘ তাকে আবৃত রাখে। বারা বিন আজিব (রা.) বর্ণনা করেছেন যে সে বিষয়টি রাসুল (সা.)-এর কাছে বর্ণনা করেন। তিনি তাঁকে বলেন, ‘হে অমুক, তুমি সুরাটি তিলাওয়াত করো। কারণ এটি আল্লাহর রহমত বা প্রশান্তি, যা কোরআন তিলাওয়াতের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৬১৪; মুসলিম, হাদিস : ৭৯৫)

আকাশ থেকে ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত আলোকিত: বিশেষ করে জুমার দিন এই সূরা তিলাওয়াতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।হাদিসের বর্ণনা অনুসারে জুমাবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতর দিন। সূরা কাহফ তিলাওয়াত এই দিনের অন্যতম আমল। মুআজ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের শুরু ও শেষ তিলাওয়াত করবে তার পায়ের নিচ থেকে মাথা পর্যন্ত নূর প্রজ্জ্বলিত হবে। আর যে ব্যক্তি পুরো সূরা তিলাওয়াত করবে তার জন্য আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত নূর প্রজ্জ্বলিত হবে।’ (মুসনাদে আহমদ : ৪৩৯/৩)

কিয়ামতের দিন এই সূরা তার পাঠকারীকে আলোকিত করবে। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পড়বে, তার পায়ের নিচ থেকে আসমান পর্যন্ত নূর প্রজ্জ্বলিত হবে এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য উজ্জ্বল হবে। আর দুই জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৬/৩৯৮)

পুরো সপ্তাহ ব্যাপী নূর: কেউ প্রতি জুমায় এই সূরা তিলাওয়াত করলে এক জুমা থেকে অন্য জুমার মধ্যবর্তী সময় তার জন্য নূর প্রজ্জ্বলিত করে রাখা হয়। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর প্রজ্জ্বলিত হবে।’ (সুনানে দারিমি, হাদিস : ৩৪০৭)

সূরা কাহাফ পাঠে দাজ্জাল থেকে সুরক্ষা: এই সূরা পাঠ করার মাধ্যমে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮০৯)

তাই পারলে পুরো সূরা মুখস্থ করা উত্তম। নতুবা কমপক্ষে হাদিসে বর্ণিত বিশেষ আয়াতগুলো মুখস্থ করা যেতে পারে। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ, ৪৪৬/৬)

আরেক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের ১০ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৮৬)

মহান আল্লাহ সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিএনএনিউজ/বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ