বিএনএ: বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন বগুড়ার উপনির্বাচনের হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব না।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আশরাফুল আলম। বলেন, ছয়-সাতটা আসনে যদি ফেয়ার নির্বাচন দিত, তাহলে বুঝতাম এবার একটা ভালো নির্বাচন দিছে। এখানেও কারচুপি করেছে।
বগুড়ার দুটি আসনের ভোটের ফল নিয়ে হিরো আলম বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩৯টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এরপরের ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই মোট ফলাফল একবারে দেয়া হয়। কেন্দ্রগুলোতে কত ভোট পেয়েছেন তা জানতে পারেননি তিনি। কিন্তু সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করার দাবি তোলেন। পাশাপাশি এই ফলাফল খতিয়ে দেখার জন্য হাইকোর্টে রিট করার কথা জানান তিনি।
হিরো আলম জানান, ভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আগামী রোববার হাইকোর্টে রিট করবেন তিনি। এ কারণে নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনীয় নথি তুলতে যান বৃহস্পতিবার।
সর্বোচ্চ আদালতের রায় পক্ষে না এলে কি করবেন এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘এই রকম নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে, নির্বাচন করার আর দরকার নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে যেভাবে কারচুপি করেছে তারা। বলেন, কারচুপি করে তাকে হারানো হয়েছে। তার মতো লোকের কাছে টক্কর দিয়ে হেরে যাবে, এটা তাদের জন্য লজ্জাজনক। তার লোকের ভোটও ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
গত বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে জাসদ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম। পরে রাতেই সংবাদ সম্মেলনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, বগুড়া-৪ আসনের ভোটের ফলাফল হিরো আলম সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তিনি এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। ফলাফল শিট তাকে প্রিন্ট করে দেয়া হয়েছে। তবে ভোটের ফলাফল সঠিক আছে। এখানে কোনো সমস্যা বা ভুল নেই বলে দাবি করেন মাহমুদ হাসান।
বিএনএনিউজ/এ আর