বিএনএ ডেস্ক : স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর মহামারী শেষ হতে অনেক দেরি। করোনা ভাইরাস তার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন (মিউটেশন) করে আরো বেশি সংক্রামক এবং ভ্যাকসিনকে ফঁাকি দিতে সক্ষম হওয়ায় এই মহামারী থেকে মুক্তির পথ বেশ লম্বা হবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, ২০২১ সালেও প্রায় গত বছরের মতোই দাপট থাকবে ভাইরাসটির।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাস নিয়ে এরই মধ্যে নানা ধরনের অস্পষ্ট বক্তব্য এসেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। কিন্তু সেসবের মধ্য থেকে একটি বক্তব্য এখন খুবই পরিষ্কার, তা হলো- এই মহামারী শেষ হতে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে মানব জাতিকে। এরই মধ্যে নানা ধরনের মিউটেশন গ্রহণ করা করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বে কার্যকর রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড ও সাউথ ক্যারোলিনায় কিছু ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের সাউথ আফ্রিকার ধরনের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। অথচ তাদের কোনো ভ্রমণ ইতিহাস নেই। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির মধ্যে যেসব মিউটেশন দেখা গেছে, সেসব ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন বেশ কার্যকর দেখা যাচ্ছে। কিন্তু যেভাবে এই ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হচ্ছে তাতে তা একইভাবে কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ ভাইরাসটি নতুন নতুন বিষয় গ্রহণ করছে মানবশরীরে এসে। এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাসটির উপর বিজ্ঞানীরা জিনোম নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। আর ভ্যাকসিন উদ্ভাবকরা বার বার তাদের ফর্মুলা পুনরায় সজ্জিত করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, ‘আমরা খুবই চিন্তিত। এই ভাইরাসটির আরো বেশি বেশি মিউটেশন হবে আর এসব কারণে দুশ্চিন্তা হওয়াই স্বাভাবিক।’ করোনায় পুনরায় সংক্রমণের খবরও মিলছে জানিয়ে কলিন্স বলেন, ‘বায়োটেক কোম্পানির নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে সাধারণ ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিন কার্যকারিতা দেখালেও সাউথ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট ভ্যাকসিন এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো ভ্যাকসিনই ১০০ ভাগ কার্যকর নয়।