16 C
আবহাওয়া
৫:১৭ পূর্বাহ্ণ - জানুয়ারি ৫, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ

ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ

ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ

বিএনএ, ঢাকা: সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। এর আগের মাস নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়ে ছিল ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০২৩ ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৯৩ কোটি ৯ লাখ ডলার। ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক (আরএমজি) থেকে। এ খাতে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলারে। যা ২০২৩ সালে ছিল ৩২১ কোটি ৪ লাখ ডলার।

এতে বলা হয়, এ সময়ে কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১ লাখ ডলারে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা ডিসেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ডলারের। হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের ১২২ মিলিয়নের তুলনায় ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ১১৪ দশমিক ৪২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম চামড়ার পাদুকা থেকে রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে, যা ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এই উদীয়মান খাত আয় করেছে ২৭৪ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৯৭ মিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে স্নোটেক্সট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ জানান, মূলত বিশ্বব্যাপী পোশাক ক্রেতারা চীন থেকে তাদের ক্রয় স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে এবং তারা সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে। অন্যদিকে, ক্রেতারাও তাদের কাজের আদেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করছে, এটি বৃদ্ধির আরেকটি কারণ।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, কাজের আদেশ প্রবাহ ভালো হওয়ায় আগামী মাসে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো নতুন মজুরি জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। যদি মজুরি বৃদ্ধি নির্মাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যবসা করার খরচ বাড়ায় তবে এটি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান জানান, বৈশ্বিক বাজারে ক্রিসমাস ডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, নিউ ইয়ারে পোশাকপণ্যের চাহিদা বাড়ে। ফলে এ সময়ে বেশি পণ্যের জাহাজীকরণ হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে রপ্তানি বাড়ে। তবে আশার কথা হলো এ বছর কাজের আদেশ বেশি আছে। আমাদের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যার জন্য দরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি।

বিএনএনিউজ/ বিএম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ