29 C
আবহাওয়া
৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নিখোঁজের তিনদিন পর ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের তিনদিন পর ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের তিনদিন পর ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় নিখোঁজের তিনদিন পর লাল মিয়া (৫০) নামে এক দাদন ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলদিঘী পূর্বপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত লাল মিয়া ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, নিহত লাল মিয়া দাদন ব্যবসায়ী ছিলেন। সে সুদে এলাকার মানুষকে টাকা দিতেন। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে তিনি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ও তার নাম্বারে কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে এই ঘটনায় নিহতের স্বজনরা তারাকান্দা থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন। পরদিন বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে লাল মিয়ার মোবাইল থেকে তার ছেলের নাম্বারে কল করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা দিলে লাল মিয়াকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৪ মৃত্যু, ১৫৩৪ জন হাসপাতালে

এই ঘটনার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় একই এলাকার সোহেল মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সোহেলের দেয়া তথ্যমতে, ঘটনার সাথে জড়িত একই এলাকার শাহীন খান (৪৫) ও আ. বারেক (৩৫) নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে ওই এলাকার একটি পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তারাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী লাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও আ. বারেকের কাছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা পেতেন। তবে, শাহীনের সাথে লাল মিয়ার টাকা পয়সার কোন লেনদেন ছিল না। শাহীন মিয়া বিভিন্ন অপকর্মের কারণে সেনাবাহিনী থেকে চাকুরীচ্যুত হয়। তাদের ধারণা ছিল লাল মিয়ার কাছে নগদ টাকা আছে। এই ভেবে শাহীন মিয়া গ্রেপ্তার অপর দুই আসামী নিয়ে লাল মিয়াকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী লাল মিয়াকে অপহরণ করে। অপহরণের পর চিনে ফেলায় লাল মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পরদিন লাল মিয়ার নাম্বার থেকে তার ছেলের নাম্বারে ফোন করে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে।

ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।

বিএনএনিউজ/হামিমুর রহমান,বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ