বিএনএ ঢাকা: জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধ সামনে রেখে এই দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সেনা প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। তার প্রায় বছর তিনেক পর নিজের গড়া জাগো দলের বিলুপ্তি ঘটিয়ে ৭৮ সালের এদিনে আত্মপ্রকাশ ঘটান জাতীয়তাবাদী দলের।
১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে চলা দলটি পরের বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়। ডান, বাম ও মধ্যপন্থিদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বিএনপি পায় শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তি।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে বিপথগামী একদল সেনাসদস্যের হাতে জিয়াউর রহমান শহীদ হলে দলের নেতৃত্বে আসেন তার সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়া। তার হাত ধরে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে দলটি।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার বিএনপিকে কঠিন বাস্তবতায় পড়তে হয় । ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন দল বিএনপি। তবে তিনি কারাগারে থাকা অবস্থায় সবশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছয়টি আসনে জয় লাভ করে বিএনপি। সংরক্ষিত একটি আসনসহ সাতটি আসন নিয়ে একাদশ সংসদে যোগদান করলেও প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় নেই।
তবে, প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময় বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে এ রাজনৈতিক দলটি। কারণ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে টানা দুইবার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলটির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মামলা ও হামলায় বিপর্যস্ত। চলমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না তারা। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত এ দলটিকে।
এদিকে, গত বছরের মতো এবারও বাসায় থাকলেও অসুস্থতা ও শর্ত সাপেক্ষে জামিনে থাকায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না দলীয় চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দলের শীর্ষ নেতাকে ছাড়াই ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দলটি।
৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।দেশব্যাপী আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে দলের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
