39 C
আবহাওয়া
৬:১৬ অপরাহ্ণ - মে ১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

ড. ইউনূস

বিএনএ, ঢাকা: শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলার আজ রায় ঘোষণা করবেন শ্রম আদালত।

সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ২টার পর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর মামলার বাদী ও আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

ড. ইউনূস ছাড়াও এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

গত ১৬ নভেম্বর এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। এর আগে ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন। ২০২৩ সালে ৬ জুন এই মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন জানালে হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করেন। পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। ওই বছরের ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চারজন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না।

মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।

অভিযোগ গঠনের পর এই মামলা বাতিলের জন্য ড. ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করার পর আপিল বিভাগে গেলেও হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকে। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ