30 C
আবহাওয়া
৯:২৫ অপরাহ্ণ - মে ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » স্মার্ট বাংলাদেশ : এখনই নাগরিক ডাটাবেজ তৈরি করুন

স্মার্ট বাংলাদেশ : এখনই নাগরিক ডাটাবেজ তৈরি করুন

স্মার্ট বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যেই চারটি ভিত্তি ঠিক করেছে। এগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।  নববর্ষ মানেই সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া।

নতুন আশা নিয়ে আমাদের দেশে বরণ করা হবে ২০২৩ সাল।  মহাকালের আবর্তে বিলীন হতে যাচ্ছে ২০২২ সাল। এ বছরের সকল দুঃখ-বেদনা ভুলে শনিবার(৩১ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন আশা নিয়ে বরণ করবে ২০২৩ সালকে।

সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ, সহযোগিতা, পরামর্শ ও মতামত খুবই মূল্যবান।

স্মার্ট বাংলাদেশ : প্রসঙ্গ চারভিত্তি (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি)।

এই চার ভিত্তিকে সফলভাবে সাজাতে প্রয়োজন সবার আগে নাগরিক ডাটা প্রস্তুত করতে হবে।

এনআইডিকে মূল ব্যক্তি হিসেবে  নাগরিক ডাটা সাজাতে হবে।

পেশা হিসেবে বাংলাদেশে কতজন মানুষ রয়েছে।

কতজন ব্যবসায়ী, কতজন সাধারণ কর্মচারী, কতজন দক্ষ কারিগর, আধা দক্ষ কারিগর, কৃষক, দিন মজুর, জেলে, তা নির্ণয় করতে হবে।  সে সাথে তাদের বাৎসরিক আয়, মাসিক বেতনের অংক তুলে আনতে হবে। তাদের ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট,হোল্ডিং ট্যাক্স, ইত্যাদির তথ্য থাকতে হবে।

সারাদেশে(সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এলাকায়) কতজন মুদি, সেলুন, অনলাইন ব্যবসায়ি, স্বর্ণ দোকানদার, তরকারী ব্যবসায়ি, বৈদ্যুতিক সরজ্ঞাম ব্যবসায়ি, বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি, ডেইলি লেবার, স্কুল কলেজ মাদ্রসা,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রয়েছেন, সেসবের তালিকা হওয়া জরুরি।

এক ক্লিকে যাতে দেখা যায়, একটি গ্রাম বা শহরে কতজন কৃষক, ব্যবসায়ি, জেলে, কামার কুমার,শিক্ষক, কর্মচারী, সাংবাদিক, আইনজীবী, সংবাদপত্র কর্মচারী, সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারী  এবং  নিম্ন  আয়ের(১০,০০০-২০,০০০ হাজার), মধ্যম আয়ের(৩০,০০০-৪০০০০হাজার) কতজন লোক রয়েছে।  সাথে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির, ক্লাব, দোকানপাট,খাবারের দোকান, বেকারি, বেকারি ব্যবসায়ীর এবং বেকার তথ্যও।

আমি আশা করি সরকার ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নাগরিক ডাটাবেজ শুরু করার জন্য দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের দিয়ে কাজ শুরু করবেন।

একটি সম্প্রসারণযোগ্য সফটওয়ার দিয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে ডাটা তৈরির কাজ শুরু করা যেতে পারে।  নাগরিক ডাটাবেজ হলে করোনার মত দুযোর্গ কালে কারা সরকারি সহায়তা ১০০% পাবে, ৫০% পাবে , ২৫% পাবে তা সহজে সঠিকভাবে নির্ণয় করা সহজ হবে।

সৈয়দ গোলাম নবী, লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন : স্মার্ট বাংলাদেশ কী

মতামতের জন্য বিএনএনিউজ২৪’ সম্পাদক বা কর্তৃপক্ষ দায়ি নন।  এটি লেখকের নিজস্ব মতামত। 

Loading


শিরোনাম বিএনএ